আশঙ্কা ছিলই। শেষমেশ সত্যি হল সেই সম্ভাবনা। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে চলতি বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের রাস্তা চওড়া করল পাকিস্তান। জোড়া জয় দিয়ে বিশ্বকাপ ২০২৩ অভিযান শুরু করা বাবর আজমরা টানা চার ম্যাচে হারের মুখ দেখলেন।
শুক্রবার চেন্নাইয়ে বিশ্বকাপ ২০২৩-এর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। টস জিতে পাকিস্তান শুরুতে ব্যাট করতে নামে। যদিও তাদের ইনিংসের শুরুটা মোটেও মনে রাখার মতো হয়নি। মাত্র ৩৮ রানের মধ্যেই পাকিস্তানের দুই ওপেনার আবদুল্লা শফিক ও ইমাম উল হককে সাজঘরে ফেরায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
বাবর আজমকে নিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন মহম্মদ রিজওয়ান। তবে একবার জীবনদান পেয়েও বড় রানের ইনিংস গড়তে ব্যর্থ হন রিজওয়ান। তিনি সেট হয়েও উইকেট দিয়ে আসেন। হাফ-সেঞ্চুরি করেন বাবর আজম ও সউদ শাকিল। নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন শাদব খান।
পাকিস্তান ৪৬.৪ ওভারে ২৭০ রানে অল-আউট হয়ে যায়। বাবর ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৬৫ বলে ৫০ রান করে আউট হন। শাকিল ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫২ বলে ৫২ রান করে মাঠ ছাড়েন। শাদব ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৬ বলে ৪৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। রিজওয়ান ২৭ বলে ৩১ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। কোয়েটজির বলে ডি'ককের দস্তানায় ধরা পড়ার আগে রিজওয়ান ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। এছাড়া আবদুল্লা শফিক ৯, ইমাম উল হক ১২, ইফতিকার আহমেদ ২১, মহম্মদ নওয়াজ ২৪, শাহিন আফ্রিদি ২ ও মহম্মদ ওয়াসিম ৭ রান করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার তাবরেজ শামসি ১০ ওভারে ৬০ রান খরচ করে ৪টি উইকেট দখল করেন। মারকো জানসেন ৯ ওভারে ১টি মেডেন-সহ ৪৩ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট পকেটে পোরেন। জেরাল্ড কোয়েটজি ৭ ওভারে ৪২ রান খরচ করে ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন। ৪৫ রানে ১টি উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিদি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৭.২ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২৭১ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ১৬ বল বাকি থাকতে ১ উইকেটে ম্যাচ জেতে প্রোটিয়ারা। এডেন মার্করাম ৭টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৯৩ বলে ৯১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ডেভিড মিলার করেন ৩৩ বলে ২৯ রান। তিনি ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
এছাড়া তেম্বা বাভুমা ২৮, কুইন্টন ডি'কক ২৪, রাসি ভ্যান ডার দাসেন ২১, এনরিখ ক্লাসেন ১২, মারকো জানসেন ২০, জেরাল্ড কোয়েটজি ১০, কেশব মহারাজ অপরাজিত ৭, লুঙ্গি এনগিদি ৪ ও তাবরেজ শামসি অপরাজিত ৪ রান করেন।
শাহিন আফ্রিদি ৪৫ রানে ৩টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন হ্যারিস রউফ, মহম্মদ ওয়াসিম ও শাদব খানের কনকাশন পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা উসামা মীর। ম্যাচের সেরা হন শামসি।