শুভব্রত মুখার্জি- দক্ষিণ আফ্রিকার চলতি ওডিআই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার বিষয়টা আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। ফলে শুক্রবার তাদের গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচের তাদের কাছে সেই ভাবে গুরুত্ব ছিল না। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে সেমিফাইনালের আগে তাদের যে জিনিসটায় সবথেকে গুরুত্ব দিতে হয়েছিল তা হল রান তাড়া করা। কারণ এর আগে আটটি ম্যাচে মধ্যে যে দুটি ম্যাচে তারা হেরেছিল সেই দুটিতেই রান তাড়া করতে গিয়ে হারতে হয়েছিল তাদের। ফলে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের কাছে রান তাড়া জয়। আর ঠিক সেই কাজটাই তারা বেশ সফলভাবে করতে সমর্থ হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খুব খুশি দলনায়ক তেম্বা বাভুমা। সে কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন তিনিও।বাভুমার স্পষ্ট বক্তব্য সফলভাবে রান তাড়া করতে পারাটা আমাদের সেমিফাইনালের আগে আত্মবিশ্বাস জোগাবে।
প্রসঙ্গত ১৯৯৯ সালের ওডিআই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই ম্যাচ টাই হলেও গ্রুপ পর্বে যেহেতু দক্ষিণ আফ্রিকা হেরে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে সেই কারণে ফাইনালে গিয়েছিল তারা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সেই হারের ক্ষতে প্রলেপ লাগাতে এবং অজিদের বিরুদ্ধে মধুর প্রতিশোধ নিতে মুখিয়ে থাকবে প্রোটিয়া বাহিনী। ১৬ নভেম্বর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইডেন গার্ডেন্সে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা দল। দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের শেষ গ্রুপ ম্যাচে আফগানিস্তান দলকে ২৪৪ রানে অলআউট করে দেয়। রান তাড়া করতে নেমে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৪৭.৩ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।
ম্যাচ শেষে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের পরে বাভুমা জানান, ‘আজকের ম্যাচে কয়েকটা জিনিস আমরা একটু আলাদাভাবে করেছি। আজকের ম্যাচে আমরা দ্বিতীয় ব্যাট করেছি। রান তাড়া করেছি। শেষ পর্যন্ত যেভাবে ম্যাচটা আমরা জিতেছি তা সেমিফাইনালের (অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে) আগে আমাদেরকে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস জোগাবে। এদিন আমরা প্রথমে বল করতে পেরে খুশিই হয়েছি। আমরা টসে জিতলেও আমরা এ দিনকে রান তাড়াই করতাম। আফগানিস্তানের বোলিং অ্যাটাক খুব ভালো। আমরা রান তাড়ার সময়ে আমাদেরকে একটু কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলতে চেয়েছিলাম। যাতে একটা বা দুটো জিনিস আমরা একটু বদলাতে পারি। একজনকে গোটা ইনিংস ধরে খেলতে হত। ওপেনাররা আমাদের হয়ে শুরুটা বেশ ভালোই করে। মিডল ওভারেও বেশ কিছু ভালো পার্টনারশিপ হয়েছে। আমরা জানি আমাদের ব্যাটাররা কী করতে পারে বা কী করতে পারে না। ফলে রান তাড়া করে আমরা জিতেছি আর তাতে আমরা খুব খুশি।’