বিশ্বকাপ শুরু হয়ে গিয়েছে প্রায় এক সপ্তাহ হতে চলল। ইতিমধ্যেই সব দল নিজেদের ১টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। পাকিস্তানও তাদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছে ইতিমধ্যেই। তবে এখনও ভারতে আসার অনুমতি পাননি পাকিস্তানের সাংবাদিক ও দর্শকরা। আসলে, পাক সাংবাদিক ও ক্রিকেট অনুরাগীদের ভিসা মঞ্জুর হয়নি এখনও।
পাকিস্তান তাদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে। তবে আগামী ১৪ অক্টোবরের ম্যাচের দিকে চোখ রয়েছে সবার। শনিবার আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের মহারণে সম্মুখসমরে নামবে ভারত-পাকিস্তান। পাকিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমীরা নিশ্চিতভাবেই চাইছেন ভরত-পাক ম্যাচের আগে ভারতে এসে পৌঁছতে।
এমন পরিস্থিতিতে পিসিবির তরফে ভিসা সমস্যা মেটানের জন্য তৎপরতা দেখানো হয়। পিসবি প্রধান জাকা আশরাফ সোমবার ওদেশের বিদেশ সচিব সাইরাস সাজ্জাদ কাজীর সঙ্গে দেখা করেন এবং এই বিষয়ে আলোচনা করেন। পিসিবির বিবৃতি অনুযায়ী জাকা আশরাফ বিদেশ সচিবকে অনুরোধ করেছেন বিষয়টি ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও দিল্লির পাক দূতাবাসের সামনে তুলে ধরার জন্য।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘পিসিবি অত্যন্ত হতাশ এটা দেখে যে, বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ম্যাচগুলি কভার করার জন্য পাক সাংবাদিকদের ভারতের ভিসা পাওয়া নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তায় ভুগতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আইসিসি ও বিসিসিআইকে মনে করিয়ে দিতে চায় বিশ্বকাপ আয়োজনের শর্তের কথা। বিশ্বকাপ আয়োজনের শর্ত ও বাধ্যবাধ্যকতার মধ্যে পড়ে আয়োজক দেশগুলির সাংবাদিক ও সমর্থকদের ভিসা অনুমোদন করা, যা এক্ষেত্রে এখনও মানা হয়নি।’
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের প্রায় ৬০ জন সাংবাদিক বিশ্বকাপ কভার করতে ভারতে আসার জন্য ভিসা হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। বিশ্বকাপ শুরুরু আগে ক্যাপ্টেনস ডে-তে পাক দলনায়ক বাবর আজমকেও বলতে শোনা গিয়েছিল যে, হায়দরাবাদে তাঁদের ম্যাচের সময় পাকিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমীরা গ্যালারিতে উপস্থিত থাকতে পারলে ভালো হতো।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান ক্রিকেট দলকেও ভারতে আসার ভিসা পাওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। শেষমেশ পিসিবি আইসিসির কাছে লিখিত অভিযোগ করার পরে বাবর আজমদের ভারতে আসার ভিসা মঞ্জুর হয়। পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা সূচি অনুযায়ী ভারতে আসার ৪৮ ঘণ্টা আগেও নিজেদের ভিসা হাতে পাননি।
এমনটা নয় যে, ভারতে আসার ভিসা পাওয়া নিয়ে পাক ক্রিকেটারদের অনিশ্চয়তা ছিল। তবে একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হওয়ায় পাসিবিকে দুবাইয়ের টিম বন্ডিং সেশনের পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়।