পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়রার পুরসভায় প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। সেই পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী তথা সেই পুরসভার বিদায়ী প্রশাসক অরূপ রায় প্রচারে বেরিয়ে হামলার শিকার হলেন। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলেরই প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতি অনুপ জানার বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তৃণমূল প্রার্থী অরূপবাবুকে।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে দলীয় কর্নী, সমর্থক ও নিজের অনুগামীদের নিয়ে এলাকায় প্রচারে বেরিয়েছিলেন অরূপবাবু। সেই সময় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অনুপ জানা নাকি ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পের কাজ করছিলেন। সেই সময় দু’জন মুখোমুখি হলে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরে তা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
তৃণমূল প্রার্থী অরূপ রায়ের অভিযোগ, তাঁকে রীতিমতো লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। জানা গিয়েছে, অরূপবাবু ও অনুপবাবুর বিরোধ দীর্ঘদিনের। গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই দলীয় প্রার্থী অরূপবাবুর হয়ে প্রচারে রাস্তায় নামেননি অনুপ জানা।
এদিকে দলীয় কোন্দলের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস এখন ভুগছে গোঁজ প্রার্থী জ্বরে। বারবার হুঁশিয়ারি দেওয়া সত্ত্বেও প্রার্থীপদ তোলেননি অনেকে। এই পরিস্থিতিতে গত বুধবার দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে ১৫ জন ‘নির্দল’ প্রার্থীসহ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মোট ২০ জন নেতা-নেত্রীকে বহিষ্কার করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। পদ হারাতে হয় খড়্গপুর শহর তৃণমূলের যুব সভাপতি অসিত পাল (ছোটকা) এবং ক্ষীরপাই শহর তৃণমূল কংগ্রেসের ৪ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মনোজ হালদারকে। তাছাড়া মেদিনীপুর এবং ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার আরও বেশ কয়েকজন নেতা এই তালিকায় আছেন।