করোনা আবহে রাজ্যের চার পুরনিগমে ভোট নিয়ে আইনি জটিলতা জারি রয়েছে উচ্চ আদালতে। জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে নির্বাচন পিছোনোর এক্তিয়ার নিয়ে একে অপরের কোর্টে বলও ঠেলছে রাজ্য সরকার ও কমিশন। আর এই আবহে হাই কোর্টে হলফনামা জমা দিয়ে কমিশন জানায়, ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত ভোট কর্মী নিয়ে চার পুরনিগমে ভোট অনুষ্ঠিত করবে কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পূর্ব ঘোষিত সূচি অনুযায়ী চার পুরনিগমে ভোট অনুষ্ঠিত করতে চায় তারা। উচ্চ আদালতে কমিশনের আইনজীবী আবশ্য জানান, বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘বিপর্যয়’ হিসেবে ঘোষণা করা হলে নির্বাচনের দিনক্ষণ পিছিয়ে যাবে। তবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে যে কমিশন প্রস্তুত, তা জানিয়ে দেওয়া হয় উচ্চ আদালতে।
হলফনামায় কমিশনের তরফে জানানো হয়, করোনার পরিস্থিতি মাথায় রেখে ভোটকেন্দ্র প্রতি আনুমানিক ৪৫০ থেকে ১২০০-র মতো ভোটার থাকবে। ভোটের লাইনে যাতে ভোটাররা শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ায়, তাও নিশ্চিত করা হবে। আসন্ন পুরভোটে চারটি পুরসভায় মোট বুথ ২০৮৩টি, ভোট কেন্দ্র ৮৮৪টি। এদিকে কনটেনমেন্ট জোনে থাকা বাসিন্দারা ভোটগ্রহণের শেষ এক ঘণ্টায় ভোট দিতে পারবেন। সেই সময় করোনা আক্রান্তরাও ভোট কেন্দ্রে এসে নিজেদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে।
এদিকে করোনা আবহে পুরনিগমে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়া প্রসঙ্গে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, এই শহরগুলিতে টিকাকরণের হার ভালো৷ রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়, পুরনিগমগুলির মধ্যে আসানসোলে ৯৮ শতাংশ মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ এবং ৭২ শতাংশ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে৷ চন্দননগরে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকাকরণের পরিসংখ্যান যথাক্রমে ৯৮ এবং ৯৫ শতাংশ৷ আর শিলিগুড়ি ও বিধাননগরে একশো শতাংশ বাসিন্দাকেই টিকার দু’টি ডোজ দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে৷