পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে থাকেই এই ভোটকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জেলায় অশান্তি শুরু হয়েছে। আসছে মৃত্যুর খবরও। এখনও পর্যন্ত ২৬ দিনে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সব মৃত্যু যে সংর্ঘষে তা নয়। কোথাও বোমা বানাতে গিয়ে তা ফেটে মৃত্যু হয়েছে। কোনও মৃত্যুতে রয়েছে রহস্য। একনজরে দেখা নেওয়া যাক সেই মৃত্যু খতিয়ান।
# ৪ জুলাই: দেগঙ্গায় বোমাবাজিতে খুন হয় ১ স্কুল পড়ুয়া।
# ৯ জুন: মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে কংগ্রেস কর্মীকে গুলি করে খুন ।
# ১৫ জুন: মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় ভাঙড়ে খুন ১ আইএসএফ ও ২ তৃণমূল কর্মী ।
# ১৫ জুন: মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে পিটিয়ে, গুলি করে খুন।
# ১৭ জুন: কোচবিহারের দিনহাটায় বিজেপি প্রার্থীর আত্মীয় খুন।
# ১৭ জুন: মালদার সুজাপুরে তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ।
# ২১ জুন: উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় বাম-কংগ্রেসের মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সিপিএম কর্মী খুন।
# ২২ জুন: পুরুলিয়ায় তৃণমূলের টাউন সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবেকে গুলি করে খুন।
# ২৪ জুন: মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু এক দুষ্কৃতীর।
# ২৭ জুন: কোচবিহারের দিনহাটার ধরলা গ্রামে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে এক তৃণমূল কর্মী খুন।
#২৯ জুন: পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিজেপির বুথ সভাপতির ঝুলন্ত দেহ।
# ১ জুলাই: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ গ্রামে গুলি করে খুন যুব তৃণমূল কর্মী।
# ৩ জুলাই: ভোরে উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার শালিপুরে বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত এক তৃণমূল কর্মী।
#৩ জুলাই: পুরুলিয়ার মানবাজারে বিজেপির মোর্চার বুথ সম্পাদক রহস্যমৃত্যু।
#৪ জুলাই: উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার গাঙাটি গ্রামে বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় ১৭ বছরের তৃণমূল সমর্থকের।
৮ জুলাই শনিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে মঙ্গলবার বৈঠকে বসেন তিন রাজ্যের পুলিশ প্রধান। বৈঠকে পর রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য সাংবাদিকদের বলেন, রাজ্যের সব জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটছে না। ছোট ছোট ঘটনাকে বড় করে দেখানো হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের এমনটা করা উচিত না।
২০১৮-র একদফার পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুধু ভোটের দিনই কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০১৩ সালের পাঁচ দফার ভোটে মৃত্যু হয়েছিল ১৪ জনের। এবার ভোটের দিন কী হবে? সেই প্রশ্নই এখন ঘুরছে রাজ্যবাসীর মনে। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের সমন্বয়ে কী ভাবে নিরাপত্তা পরিকল্পনা করে কমিশন তার উপরই নির্ভর করছে শান্তিপূর্ণ ভোট।