পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই দায়ী করলেন আইএফএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। শনিবার সকাল থেকে বিধায়কের দফতরে প্রচুর অভিযোগ এসেছে। এই সব অভিযোগ তিনি লিখিত কমিশনের দফতরে জমা দেন। তাঁর দাবি, অভিযোগের কোনও সুরাহা হয়নি।
(ভোটের লাইভ আপডেট পড়ুন। খানাকুলে গুলিবিদ্ধ ৩ ভোটার, হেমতাবাদে মিলল ১ মৃতদেহ)
ভোটে অশান্তি নিয়ে এদিন নওশাদ কমিশনের উপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,'আমি প্রথমেই বলেছিলাম কমিশন চাইলে শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। না হলে যতই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকুক না কেন কিছু হবে না। '
যে অভিযোগ তাঁর কাছে এসেছে তার মধ্যে থেকে কয়েকটি অভিযোগের উদাহরণ তুলে তিনি বলেন, 'আমাদের প্রার্থীর বাড়িতে তালা মেরে দিয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে বোমাবাজি হচ্ছে। পুলিশকে জানানো সত্বে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।'
বিধায়কের দাবি,'সকাল থেকে বোমাবাজি হচ্ছে কাউকে বুথে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। মারধর করা হচ্ছে। এটা ভোটের নামে প্রহসন।'
ভোট কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা মিলছে না, এই অভিযোগও উঠেছে। তার জন্য কমিশনকেই দায়ী করেছেন নওশাদ। তিনি বলেন,'কী ভাবে বাহিনী মোতায়েন করা হবে তা ঠিক করা যার দায়িত্বে ছিল তিনি যদি দায়িত্ব ঠিক মতো পালন না করেন তবে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। তাদের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বসিয়ে রাখা হয়েছে। কী দায়িত্ব সেটাই ভালো করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। তাই এই অবস্থা।' বিধায়কের দাবি,'বাহিনী নিয়ে আগে থেকে গা-ছাড়া মনোভাব ছিল। তাই একের পর এক প্রাণহানী ঘটল। এর দায় কমিশনকে নিতে হবে।'
এদিন শাসকদলের সন্ত্রাস নিয়েও সরব হন আইএসএফ বিধায়ক। তিনি বলেন,'পায়ের নীচে মাটি সরে গিয়েছে। তাই এরা এরকম আচারণ করছে। মানুষ পাশে নেই। তাই সুকৌশলে ভয় দেখিয়ে মানুষকে ভোট দিতে দিচ্ছে না।'
মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে একটি মামলা রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলা প্রসঙ্গে বিধায়কের বক্তব্য,'আদালত দেখুক কী প্রহসন চলছে। মানুষ ভোট দিতে পারছে না। আমার আশা আদালত এ নিয়ে কোনও রায় দেবে। '