পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে দামামা বেজে উঠেছে বাংলায়। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে হবে বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই নিয়ে এখন শাসক–বিরোধী তুমুল প্রচার শুরু হয়েছে। হিংসার ঘটনা ঘটেছে বাংলায় বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করলেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে শিলিগুড়ির স্টেট গেস্ট হাউজে আসেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। সঙ্গে ছিলেন দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের গোর্খা জোটের আটটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
এদিকে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে পাহাড়ের একাধিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস এবং তার সহযোগী দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন বিরোধীরা। এমনকী পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলপ্রকাশের ৬ সপ্তাহ পর পর্যন্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। আসলে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ফল যে ভাল হবে তা তাঁরা ধরেই নিয়েছেন। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় যে আক্রমণ তাঁরা করবেন ফলাফলের পর তার প্রতিশোধ নিতে পারে শাসকদল। সেই আশঙ্কা থেকেই এমন দাবি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে আজ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে অনেকক্ষণ বৈঠক করেন তাঁরা। বৈঠকে মূলত আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়। ভোট পূর্বে যেভাবে হিংসা ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে, সেদিকে নজর রেখে প্রত্যেক বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার জন্য রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানান সাংসদ রাজু বিস্তা। ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে ভোট হয়ে যাওয়ার পর আরও ছয় সপ্তাহ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে একই এলাকায় মোতায়েন করে রাখার আর্জি জানান পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলি। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নীরজ জিম্বা, প্রতাপ খাতিরা। তবে ছিলেন না বিমল গুরুং অথবা অজয় এডওয়ার্ডরা। তাঁদের প্রতিনিধিরা ছিলেন বলেই খবর।
আরও পড়ুন: বিজেপির অন্দরে এখন মিঠুন–স্বপন–অনির্বাণের লড়াই তুঙ্গে, তিন নেতার দাবি কী?
ঠিক কী বলেছেন রাজ্যপাল? এই বৈঠকের পর রাজ্যপাল সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হন। সেখানে তিনি কড়া বার্তা দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘রাজ্যে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরেও সন্ত্রাসের রাজনীতি, খুনের রাজনীতি চলছে। কোনওরকম হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। আমি গ্রাউন্ড জিরো রাজ্যপাল। নিজের সন্তুষ্টির জন্য নানা জায়গায় গিয়েছি এবং আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার দায়িত্ব আদালতের নির্দেশ মেনে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা। মানুষ যাতে নিজের গনতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে তা নিশ্চিত করা। সেটাই আমি করব। গণতন্ত্রের পাহারাদারের হাতে গণতন্ত্রের মৃত্যুঘণ্টা না বাজে সেটা খেয়াল রাখতে হবে।’