পঞ্চায়েত নির্বাচনের আর এক সপ্তাহ বাকি। তারপরই আগামী ৮ জুলাই শুরু হয়ে যাবে রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে গিয়েছে। গ্রামবাংলার মাটিতে তাঁরা টহল দিতে শুরু করেছে। এই আবহে বিরোধীদের অভিযোগ বাংলা জুড়ে হিংসা শুরু হয়েছে। তার জেরে বিরোধীদের উপর আক্রমণ নেমে এসেছে। সব দলেরই সদস্য খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ। তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপি কর্মী থেকে প্রার্থীর খুনের খবর সামনে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের দফা বাড়ানোর দাবি তুলেছেন। যদিও এখনও তাতে কোনও সিলমোহর পড়েনি। এই আবহে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাঁরা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে শুরু করেছেন। সিসিটিভি ক্যামেরা শুরু হয়েছে লাগানো। এমনকী আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠিয়ে চিঠি লেখা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। যদিও দাবি মতো কেন্দ্রীয় বাহিনী মিলছে না। তবে রবিবারের মধ্যে আরও কয়েক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। এই অবস্থায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘উনি চান খুনখারাপি হোক।’ এই মন্তব্যের পর জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়ে তৈরি করা লিফলেট তুলে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর দিলীপ ঘোষের ভাষায়, ‘রক্ত নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল কংগ্রেস’। আজ, শুক্রবার তিনি উত্তর ২৪ পরগনায় নির্বাচনী প্রচার সভায় গিয়েছেন। সেখানেই কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণ করার জেরে চোট নিয়ে কালীঘাটের বাসভবনে চিকিৎসাধীন। তারপরও দিলীপ ঘোষের এমন আক্রমণ বাংলার মানুষ ভালভাবে নিচ্ছেন না বলেই খবর।
আরও পড়ুন: শুভেন্দু অধিকারীকে আবার শুনতে হল ‘চোর চোর’ স্লোগান, সরগরম জঙ্গলমহল
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? বিজেপির মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ রাজ্যে খুনের পিছনে মুখ্যমন্ত্রীর হাত আছে বলে অভিযোগ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পঞ্চায়েতে লুট, দুর্নীতি এবং খুনের রাজনীতি করেন। গুলি–বন্দুক সব চলছে। আমাদের কর্মীদের খুন করে টাঙ্গিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ কিছু করছে না। পুলিশের উপর আমাদের ভরসা নেই। সরকার চাইছে খুনখারাপি করে পঞ্চায়েত ভোট করিয়ে নিতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুনের রাজনীতি করেন।’ আজ, শুক্রবার সকালে জেঠিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের হালিশহর স্টেশন রোডে চা পে চর্চা উপস্থিত হয়ে এই ভাষাতেই আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ।