পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা নিয়ে আগেই টুইট করেছিলেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। লিখেছিলেন, এটাই বিখ্য়াত ডায়মন্ডহারবার মডেল। বিরোধী যারা সাহসিকতার সঙ্গে মনোনয়ন দাখিল করতে গিয়েছিলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এবার স্ক্রুটিনির সময় তাদের উপরই আক্রমণ নেমে আসছে। তার সঙ্গেই একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন তিনি। তবে সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। তবে এবার এনিয়ে পালটা টুইট করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
এদিকে শুভেন্দুর পোস্ট করা ওই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল, একজন রক্তাক্ত ব্য়ক্তি বলছেন, ডায়মন্ডহারবার ২ নম্বর ব্লক নির্দল থেকে প্রার্থী হয়েছিল। স্ক্রুটিনি করতে এসেছিলাম। বশির হালদার নাম আমার। আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। ব্যাগ কেড়ে নিয়েছে। তৃণমূলের বাহিনীরা রয়েছে। এর প্রতিবাদ কি হবে না? আমাকে মারধর করে বের করে দিল। জানি না কী হবে?
আর সেই ভিডিয়ো দেখেই পালটা টুইট করলেন কুণাল ঘোষ। তিনি লিখেছেন, রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা সব কিছুর সঙ্গেই তৃণমূলকে জড়িয়ে দেন যতক্ষণ না তার স্বার্থ চরিতার্থ হয়। কিন্তু এই ভিডিয়োর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।
যদি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এনিয়ে কোনও প্রমাণ থাকে যে তৃণমূল এর সঙ্গে জড়িত তবে তাকে বলছি ‘সরাসরি মুখ্য়মন্ত্রীতে’ অভিযোগ জানান। ওই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্য়বস্থা নেওয়া হবে। হিংসার উপর ভরসা করাটা বিজেপির নীতি, এটা তৃণমূলের নয়।
আমরা যেকোনওরকম হিংসার নিন্দা করছি। তৃণমূলের বিরোধিতা করতে গিয়ে এই ধরনের সংবেদনশীল ঘটনা নিয়ে লাগাম টানা দরকার। জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ।
তবে কুণালের পোস্টের পরেই পালটা আসরে নেমে পড়েছেন নেটিজেনরা। একজন পুরানো একটি খবরের কাগজের কাটিং দেখিয়েছেন। যেখানে হেডিং রয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীকে সুদীপ্ত ও আমার মুখোমুখি বসাক সিবিআই।
এদিকে এবার মনোনয়নপর্বের একেবারে শুরু থেকেই প্রবল হিংসা। ভাঙড়ে কার্যত মুড়ি মুড়কির মতো বোমা পড়েছে। মৃত্যু হয়েছে একাধিকজনের। চোপড়াতেও প্রাণ গিয়েছে। দিনহাটাতেও বিজেপি প্রার্থীর দেওরকে খুন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে একেবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি। বহু জায়গায় বিরোধীদের হুমকি দিয়ে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করার জন্য় চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। হিংসা রুখতে কন্ট্রোল রুম খুলেছে রাজভবনও। তবে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অবশ্য় জানিয়ে দিয়েছেন হিংসার ঘটনার সঙ্গে দল কোনও ভাবেই যুক্ত নয়।