আর হাতে মাত্র দু’দিন। আজ, বৃহস্পতিবার, আগামীকাল শুক্রবার। আর তারপরই শনিবার গ্রামবাংলা জুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তবে ঠিক তার শেষলগ্নে আবার খুনের অভিযোগ উঠল। আজ পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিন। শুক্রবার থেকে কোনও রাজনৈতিক প্রচার করা যাবে না। অর্থাৎ পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এখন শেষলগ্নে এসে পৌঁছেছে। এই আবহে নির্দল প্রার্থীর স্বামীকে খুন করার অভিযোগ উঠল বীরভূমে। যা নিয়ে আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকী আতঙ্কে ভুগছেন মানুষজন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নিহত দিলীপ মাহারা বিজেপি কর্মী। তাঁর স্ত্রীর দাবি, বিজেপি করত বলেই খুন হতে হল। মহম্মদবাজারের হিংলো অঞ্চলের সেরেন্ডা গ্রাম থেকে বিজেপি কর্মী দিলীপ মাহারার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর স্ত্রী ছবি মাহারা এবার নির্দল প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মনোনয়ন–পর্বের সময় তিনি বিজেপি প্রার্থী হিসাবেই মনোনয়নপত্র জমা করেছিলেন। কিন্তু বিজেপি তাঁকে টিকিট না দেওয়ায় নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়ছেন ছবি মাহারা। সুতরাং তাঁর স্বামীকে কে বা কারা খুন করেছে সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে ওই বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন এমন ঘটনা ঘটল? আজ, বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার পুকুরের পাশে দিলীপের দেহ দেখতে পান গ্রামবাসীরা। তখনই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান। দেহে রক্তের দাগ মিলেছে। বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিজেপি নেত্রী নির্দল হয়ে দাঁড়ানোর জন্যই এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। যদিও স্ত্রী ছবি মাহারার দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস খুন করেছে স্বামীকে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করা হচ্ছে। তারপরও নির্বাচনের দু’দিন আগে খুনের অভিযোগ উঠল।
আরও পড়ুন: ন্যাশানাল লাইব্রেরির ভাষা ভবনের নাম পরিবর্তন, শ্যামাপ্রসাদকে জুড়ে গেরুয়া রাজনীতি
ঠিক কে, কি বলছেন? এই ঘটনা নিয়ে নিহতের স্ত্রী ছবি মাহারা সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন, ‘বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। রাত ৮টার সময় ফোনে কথাও হয়। তার পর আর যোগাযোগ ছিল না। সকালে দেহ পড়ে আছে খবর আসে। তৃণমূলের লোকেরা মেরেছে। আমি পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি তাই মেরেছে।’ এই অভিযোগের পাল্টা বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়েন্ট কনভেনার কালীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপি কর্মীর স্ত্রী নির্দল প্রার্থী। তাও বিজেপির বিরুদ্ধে। তাহলে তৃণমূল মারবে কেন? তৃণমূল এমন রাজনীতি করে না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হোক। আমাদের কেউ যুক্ত নয়।’