আর কয়েক ঘণ্টা বাকি। তারপরই শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়ে যাবে গ্রামবাংলা জুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সর্বত্র পৌঁছে গিয়েছেন ভোটকর্মীরা এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিপুল পরিমাণ নির্দল সদস্যকে উপড়ে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার মধ্যেই আবার বিস্ফোরক ফেসবুক পোস্ট করলেন বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। আর তা নিয়ে এখন তোলপাড় কাণ্ড রাজ্য–রাজনীতিতে। কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে আবার কেন এমন ফেসবুক পোস্ট? তা কেউ বুঝতে পারছেন না।
কিছুদিন আগেই তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, দলের প্রার্থীদের হয়েই প্রচার করবেন নির্দলদের হয়ে নয়। তখন সবাই মনে করেছিলেন বিদ্রোহের বোধহয় ইতি হল। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে ব্লক সভাপতি টাকা নিয়ে টিকিট দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। তখন পাল্টা ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন বলাগড়ের বিধায়ক। দলের পদ থেকে শুরু করে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেবেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তারপর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। আর সুরে ফেরেন এই সাহিত্যিক বিধায়ক। কিন্তু আবার তিনি দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট করেছেন।
ঠিক কী লিখেছেন মনোরঞ্জন? হঠাৎ করে তাঁর মধ্যে অভিমান দেখা দিয়েছে। তাই বিদ্রোহ যে থামাননি তিনি সেটার প্রমাণও দিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক একদিন আগে এমন বিদ্রোহের কারণ অবশ্য তিনি ব্যাখ্যা করেননি। তবে এই ফেসবুক পোস্টের জেরে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসে। কারণ তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘এত চোর, ধান্দাবাজ দলে থাকতে পারে সেটা জানা ছিল না।’ যার অর্থ দাঁড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসে বিপুল পরিমাণ চোর–ধান্দাবাজ রয়েছে। সেটা দলে থেকেও এই বিধায়ক জানেন না। কিন্তু সেটা এখন কেন লিখলেন? পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগের দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন বিধায়ক। যা এখন চর্চিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘আমি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে কখনও পালিয়ে যাইনি’, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হুঙ্কার উদয়নের
আর কী লিখেছেন বিধায়ক? তিনি ঠিক কাকে আক্রমণের নিশানায় রাখলেন সেটা প্রকাশ্যে আনেননি। তবে ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁর লেখায় উঠে এসেছে, ‘কী করব কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। এত চোর এত ধান্দাবাজ যে একটা দলে থাকতে পারে আমার জানা ছিল না। জানা ছিল না সেই চোর–ধান্দাবাজগুলি বড় বড় নেতাদের এত প্রিয়। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া,আবার পরে বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফেরা এক নেতা বলাগড়ে এসে প্রেস মিটিং করে গেলেন। আমি বলাগড়ের জনগনের ভোটে নির্বাচিত বিধায়ক। আমাকে তিনি একটা খবর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করলেন না। কারা তাঁকে ঘিরে বসেছিল বলাগড়ের মানুষ দেখেছেন। তাদের সবাই চেনেন তাই আমি কিছু বলতে চাই না। সব জবাব মানুষ ভোটের বাক্সে দেবেন।’