‘‌একদিন ওদের থোঁতা মুখ ভোঁতা হয়ে যাবে’‌, বিজেপি বিরোধী জোটের অবস্থান স্পষ্ট মমতার

পাটনায় দেখা গিয়েছিল একসঙ্গে বসে বৈঠক করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধী, সীতারাম ইয়েচুরিরা। কিন্তু বাংলায় বিরোধীরা একজোট হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়ছে। এমনই অভিযোগ তৃণমূল সুপ্রিমোর। আর এবার এই বিষয় নিয়েই মুখ খুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

হাতে আর ১০ দিন বাকি। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যজুড়ে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এখন সব রাজনৈতিক দলই জোরদার প্রচারে নেমে গিয়েছে। আবার বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতা তলায় নিয়ে আসার প্রস্তুতি চলছে। এই কাজ করতে ইতিমধ্যেই পাটনায় বসে বৈঠক। এমনকী পরের বৈঠক ঠিক হয়েছে শিমলায়। সুতরাং সর্বভারতীয় স্তরে সব দলই একমঞ্চে আসতে প্রস্তুত সেটা বোঝা গিয়েছে। কিন্তু বাংলায় সেই দলগুলির অবস্থান আবার পৃথক। বরং বাংলায় বিজেপির সঙ্গে বাম–কংগ্রেস হাত মিলিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতায় নেমেছে বলে আজ, মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রচারসভা থেকে তিন দলকেই আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পাটনায় দেখা গিয়েছিল একসঙ্গে বসে বৈঠক করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধী, সীতারাম ইয়েচুরিরা। কিন্তু বাংলায় বিরোধীরা একজোট হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়ছে। এমনই অভিযোগ তৃণমূল সুপ্রিমোর। আর এবার এই বিষয় নিয়েই মুখ খুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। পঞ্চায়েতের নির্বাচনী প্রচারে আজ তিনি জলপাইগুড়ির সভা থেকে বুঝিয়ে দিলেন, সর্বভারতীয় রাজনীতিতে সমঝোতা হলে, বাংলায় কখনই সম্ভব নয়।

ঠিক কী বলেছেন মমতা?‌ কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আয়ু যে আর ৬ মাস তা তিনিই পরিষ্কার করে দেন। আর তৃণমূলনেত্রীর কথায়, ‘‌জাতীয় রাজনীতিতে জোট হবে। কিন্তু বাংলায় বাম–কংগ্রেস শিবির বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে। একদিন ওদের থোঁতা মুখ ভোঁতা হয়ে যাবে। পঞ্চায়েত ত্রিস্তরীয় নির্বাচন। তাই এক একজন ভোটার তিনটি স্তরে তিন প্রার্থীর জন্য পৃথকভাবে ভোট দেন। ফলে একজন তিনটি করে ভোট দেবেন। তাই এক–দুই–তিন, বিজেপি–সিপিএম–কংগ্রেসকে বিদায় দিন।’ এই মন্তব্য করার পর জোটে কোনও প্রভাব পড়ে কিনা সেটাই দেখার।

আরও বলুন:‌ শ্রীনু নাইডু হত্যাকাণ্ড মামলায় ১৩ জনই বেকসুর খালাস, আলোড়ন পড়ল খড়্গপুরে

তবে মূল লড়াই যে বিজেপির বিরুদ্ধে সেটা স্পষ্ট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‌গোটা দেশটাকে বেঁচে দিচ্ছে। আমেরিকাকে কত টাকা দিয়ে এল? রাশিয়াকে কী দিয়ে দিল? দেশের মাটিতে সংখ্যালঘু নিধন যজ্ঞ চালিয়ে এখন আমেরিকার কাছে প্রশংসা কুড়োতে কিছু মুসলিমকে সাজিয়ে নানান কথা বলানো হচ্ছে। গুজরাটের কিছু মুসলিম আছে। কলকাতাতেও কিছু মুসলিমকে আমি চিনি। যারা ব্যবসা করে, কিন্তু গরিব মুসলিমদের কথা বোঝে না।’