কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকলে ভোটে হিংসা নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগণনা চলাকালীন এই স্বীকারোক্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার। তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন কেন? সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে যদিও ঢোঁক গিললেন রাজীব।
এটাও পড়ুন - সিপিএমের টিকিটে জিতে গণনা কেন্দ্রেই দল বদলে তৃণমূলে জয়ী প্রার্থী
এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় রাজীব সিনহা বলেন, ‘পুরো ভোটটাই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হয়েছে। তখনকার পরিসংখ্যান আর এখনকার পরিসংখ্যান কী আছে। কিন্তু নিশ্চই কেন্দ্রীয় বাহিনীর একটা ভয় আছে। তারা থাকলে হিংসার ওপর নিয়ন্ত্রণ তো বেশি থাকবেই'।
এর পরই এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, 'তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন কেন? জবাবে এক ডিগবাজি খেয়ে রাজীব সিনহা বলেন, ‘আমি বলেছি রাজনৈতিক দল ও সাধরণ জনগণের এটাই মনে হচ্ছে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে এটা কম হত’।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের দাবি, ‘আমরা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে প্রথমে নির্দেশ দিয়েছিলাম যে প্রত্যেক বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। তারপর হাইকোর্টের তরফে জানানো হল যতটা সম্ভব কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। আমার মনে হচ্ছে না ১০০০০ এর থেকে বেশি ভোটকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা গিয়েছে’।
বলে রাখি, গত শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগণনায় রাজ্যে প্রায় কোনও ভোটকেন্দ্রেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা পাওয়া যায়নি। যদিও কমিশনার সেদিন জানিয়েছিলেন রাজ্যে এসেছে ৬৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রশ্ন উঠছে, কোথায় গেল এই বিপুল সংখ্যক বাহিনী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন রাজ্যে হিংসায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।