ভোটের বাকি আর ২ দিন। দলের যুব নেত্রী হিসাবে তাই প্রচারে এসেছেন তিনি। ভোট শেষ হলে যতবার ইডি ডাকবে ততবার যাব। বুধবার ইডির হাজিরা এড়িয়ে ভোটপ্রচারে গিয়ে এমনই জানালেন যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এদিন নথি নিয়ে দ্বিতীয় বার ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু শেষ মুহূর্তে হাজিরা এড়িয়ে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে চলে যান তিনি। হাজিরা এড়ানোয় একাধিক প্রশ্ন উঠছে সায়নীকে নিয়ে।
এদিন বর্ধমানের গলসিতে ভোট প্রচারে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সায়নী বলেন, ভোটের আর মাত্র ২ দিন বাকি। আমি দলের যুবনেত্রী। আমার পক্ষে এখন হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। ভোট মিটলে যতবার ডাকবে, ততবার যাব। আমি ইডির দফতরে যাবতীয় নথি পৌঁছে দিয়েছি। ১১ তারিখ ভোট মিটে যাওয়ার পর আমাকে যতবার ডাকবে ততবার যাব।
সায়নীর বক্তব্যে প্রশ্ন উঠছে, ২৭ জুন সন্ধ্যায় ইডির তলব পাওয়ার পর এই প্রথম ভোট প্রচারে দেখা গেল সায়নীকে। এরমধ্যে শুক্রবার ইডি দফতরে ও শনিবার বাড়ি সামনে সাংবাদিক বৈঠকে তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছে। বাকি সময় তিনি কোথায় ছিলেন কেউ জানে না। ভোটপ্রচার এত গুরুত্বপূর্ণ হলে কেন টানা ৭ দিন প্রচারে নামলেন না সায়নী? এরমধ্যে তো মাত্র ১ দিন তাঁকে জেরা করেছে ইডি।
শুক্রবার ইডির জেরা সামলে বেরিয়ে সায়নী বলেন, তদন্তকারীদের ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করব। যতবার ডাকবে ততবার যাব। তাহলে কেন কয়েক দিনের মধ্যে বদলে গেল তাঁর অবস্থান। এমন কী নথি চেয়ে বসলেন ইডি আধিকারিকরা যাতে তাদের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছেন যুব তৃণমূল নেত্রী? হাজিরা এড়ানোর পর ইডি সায়নীর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করে এখন সেদিকে নজর সবার।