ভোটের দিন দুষ্কৃতীদের হাতে বেধড়ক মার খেয়েছিলেন। এরপর শনি-রবি চলে জীবনযুদ্ধে বেঁচে থাকার লড়াই। তবে আজ সকালে অবশেষে মৃত্যু হল সিপিএম প্রার্থীর শ্বশুরের। ঘটনাটি ঘটেছে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার আনন্দ বাসে। মৃতের নাম শুকুর আলি শেখ। তাঁর পুত্রবধূ সুনীতা বিবি ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী। অভিযোগ, ভোটের দিন তাঁর শ্বশুরকে ভোটের বাইরে ব্য়াপক মারধর করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। আজ সকালে অবস্থা গুরুতর হলে, নিয়ে যাওয়া হয় শক্তিনগর হাসপাতালে। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। (পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় খবর এবং লাইভ আপডেট জানতে ক্লিক করুন এখানে)
এদিকে পুনর্নির্বাচনের আগের রাতেও নদিয়ায় হিংসা জারি থাকল। নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় সিপিএম কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। জখম ব্যক্তির নাম সাজ্জাদ মণ্ডল। জানা গিয়েছে, গুলি লাগার পর হাসপাতালে না গিয়ে আতঙ্কিত সাজ্জাদ বাড়ি পালিয়ে আসেন। এরপর ভয়ে সেখানেই থাকেন দু'ঘণ্টা। উল্লেখ্য, এর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনও রক্ত ঝরেছিল নদিয়ায়। একাধিক জয়গায় ছাপ্পার অভিযগ উঠেছিল।
জানা গিয়েছে, পুনর্নির্বাচনের প্রস্তুতিতে গতকাল বেরিয়েছিলেন সাজ্জাদ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ভাই তারিকুল মণ্ডল। কাজ শেষে দুই ভাই বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। সাজ্জাদের দাবি, নির্বাচনের দিন এলাকায় সন্ত্রাস রুখতে ও ছাপ্পা প্রতিরোধে সক্রিয় হয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করা হল। জানা গিয়েছে, তাঁর পায়ে গুলি লেগেছে।
এদিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে সেখানেই বাইক ফেলে পালিয়ে আসেন সাজ্জাদ ও তাঁর ভাই। কোনওক্রমে নিজেরই বাড়ির পাঁচিল টপকে ভেতরে ঢোকেন তাঁরা। আশঙ্কা ছিল, সামনে থেকে হয়ত কেউ নজর রাখছে। বাড়িতে ঢুকতে দেখলে এখানেই হামলা চালাবে। এই আবহে নিজের বাড়িতে আতঙ্কে দু'ঘণ্টা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় লুকিয়ে থাকেন সাজ্জাদ। পরে অন্ধকারে লুকিয়ে লুকিয়ে নিজের বাড়ির বাইরে বের হন সাজ্জাদ। বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন এই বাম কর্মী।
এর আগে গত শনিবার নদিয়ার চাপড়ায় ভোট দিতে গিয়ে এক ভোটার মারা গিয়েছিলেন। জানা যায়, মৃতের নাম হামজাদ আলি হালসান। তিনি এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।