১৯৯৫ সালের ৩ জুন দেশের প্রথম মহিলা দলিত মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেছিলেন মায়াবতী। ১৫ বছর আগেও দেশের বৃহত্তম রাজ্যে (জনসংখ্যার নিরিখে) একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করেছিল তাঁর দল বহুজন সমাজ পার্টি। তবে এই কয়েকবছরের মধ্যেই উল্লেখ্যযোগ্য পতন ঘটেছে বিএসপির। গতকাল প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশে বিধানসভায় এবার বিএসপির মাত্র একজন প্রতিনিধি থাকতে চলেছেন। মণ্ডল রাজনীতির মধ্যমণি মায়াবতী অবশ্য ধীরে ধীরে প্রাসঙ্গিকতা হারানোর দিকে এগোচ্ছেন।
২০০৭ সালের পর থেকে উত্তরপ্রদেশে টানা হেরেই চলেছে বিএসপি। শুধু তাই নয়, ক্রমেই তাদের আসন সংখ্যা কমেছে। গত নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির থেকে বেশি সংখ্যক ভোট পেয়েও তাদের থেকে এক-তৃতীয়াংশ আসন পায় বিএসপি। তবে এবারে তাদের ভোট শতাংশের পাশাপাশি আসন সংখ্যা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ১২ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পেয়ে বিএসপি এবার উত্তরপ্রদেশে মাত্র একটি আসনে জয়লাভ করেছে। এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা আসনে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট গড়েও বিজেপিকে ঠেকাতে পারেনি বিএসপি। এই আবহে ২০২২ সালে বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে শুধুমাত্র সমজবাদী পার্টি। ভোট শতাংশের হারে উল্লেখ্যযোগ্য হলেও সেই ভোট বিএসপির জন্য আসন জেতার ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ ছিল না। এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশে ‘ভোট কাটুয়া’ দলে পরিণত হয়েছে বিএসপি।
এই নিয়ে এদিন সকালে মায়াবতী বলেন, ‘বিএসপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলেছিল যে আমরা বিজেপির বি টিম। আদতে বিষয়টা উল্টো। আমরা নৈতিক এবং রাজনৈতিক দিক থেকে বিজেপির বিপরীত মেরুতে। বিএসপি এই ফল আশা করেনি। তবে এই ফলে আমাদের আশাহত হলে চলবে না। আমাদের এই ফলের থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে এবং ক্ষমতায় ফিরতে হবে।’ এদিকে কংগ্রেসকে তোপ দেগে মায়াবতী আজকে বলেন, ‘২০১৭ সালের আগে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে বিজেপি অপ্রাসঙ্গিক ছিল। আর আজকে কংগ্রেস সেই একই ভাবে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। এই উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন থেকে আমরা আরও বেশি করে কাজ করার শিক্ষা পাই।’