কর্নাটকে সামনেই বিধানসভা ভোট। তার আগে নির্বাচনী সভায় কংগ্রেসকে বিঁধে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বল্লারি জেলার সান্দুরে একটি নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি সংখ্য়াগরিষ্ঠ আসন পেয়ে সরকার গঠন করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরিয়াপ্পার প্রতি ভরসা রাখার কথা বলেন শাহ।
অমিত শাহ জানিয়েছেন, একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ইয়েদুরিয়াপ্পার উপর আস্থা রাখুন। আমরা এমন সরকার উপহার দেব যে, কর্নাটক দুর্নীতি থেকে মুক্ত হবে। দক্ষিণ ভারতের এক নম্বর রাজ্য় হবে কর্নাটক।
এদিকে মে মাসে কর্নাটকে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। অমিত শাহ জানিয়েছেন, এবার বিজেপি সরকার তৈরি করবে। আমাদের সঙ্গে যোগ দিন। সংখ্য়াগরিষ্ঠ সরকার তৈরি করুন।
কংগ্রেস ও জেডিএসকে একহাত নেন শাহ। তিনি সরাসরি দাবি করেন, গোটা দুর্নীতির পেছনে এরাই রয়েছে। অমিত শাহ বলেন, ২০১৮এর ভোটে আমরা ইয়েদুরিয়াপ্পার নেতৃত্বে ভোট করেছিলাম। কিন্তু আমরা সরকার তৈরি করতে পারিনি। তবে জেডিএসকে সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেস সরকার তৈরি করেছিল। জেডিএসকে যে ভোট আপনারা দিয়েছেন তা কংগ্রেসের কাছে গিয়েছে। আর এই রাজ্যের দুর্নীতির পেছনে জেডিএস আর কংগ্রেস উভয়ই দায়ী।
এদিকে দুমাসে এনিয়ে দুবার কর্নাটক সফরে এলেন অমিত শাহ। গত বছর ডিসেম্বর মাসে তিনি বেঙ্গালুরু ও মান্ডিয়াতে এসেছিলেন। ফেব্রুয়ারিতে তিনি এলেন দক্ষিণ কন্নরে। উপকূলবর্তী কর্নাটকের কোণায় কোণায় প্রচার করছেন অমিত শাহ।
কংগ্রেসকে তিনি একেবারে টুকরে টুকরে গ্য়াংয়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি রামমন্দির, সার্জিকাল স্ট্রাইক, কাশ্মীরের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, যদি আপনারা বিজেপিকে ভোট দেন তবে মোদীর শক্তি কিছুটা বাড়বে। মোদী রামমন্দিরের ভিত্তি স্থাপন করেছেন। বিজেপিরই একমাত্র শক্তি রয়েছে পাকিস্তানে গিয়ে সার্জিকাল স্ট্রাইক করে আসা।
তিনি বলেন, কাশ্মীর আমাদের। কাশ্মীরের স্ট্যাটাস তুলে দিয়েছেন মোদী। রাহুল গান্ধী একটা সময় বলতেন কাশ্মীরের স্পেশাল স্ট্যাটাস চলে গেলে সেই রক্ত বইবে। কিন্তু সেখানে এখন শুধুই শান্তি। অন্যদিকে কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারকে ঘিরে কংগ্রেসের মধ্য়ে লড়াইকেও কটাক্ষ করেন শাহ। তিনি বলেন, সিদ্ধারামাইয়ার সরকার একটি এটিএম সরকার। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে এটিএম সরকারের সদস্যরা দিল্লিতে রয়েছেন। পাশাপাশি মোদী সরকারের নানা উন্নয়নের কথা তিনি তুলে ধরেন।