কয়েকদিন আগেই জলপাইগুড়িতে এক বিজেপি নেতার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধার হয়েছিল। এবার সেই একই ঘটনা ঘটল শিলিগুড়িতে। জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ঘোষপুকুর এলাকায় বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সঞ্জয় সিংহের গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা নগদ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সময় সেই গাড়িতে সঞ্জয়ের সঙ্গে ছিলেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য লক্ষ্মণ সিংহের ছেলে। এছাড়া আরও দু'জন ছিলেন। দাবি করা হচ্ছে, সেই নগদ অর্থ নিয়ে এলাকায় ঘুরছিলেন এই বিজেপি নেতারা। (আরও পড়ুন: অভিষেকের বাড়ি রেইকি ঘটনায় গ্রেফতারির পর বিশেষ বৈঠকে পুলিশ, নজরে মমতার নিরাপত্তাও)
আরও পড়ুন: আমূল বদলে গেল নিয়ম, দেশের সকলকে স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আনতে নির্দেশিকা IRDAI-এর
এদিকে এই নগদ টাকা উদ্ধারের খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকেরা। এরপরে উদ্ধার হওয়া টাকা গোনা হয়। সেই সময় ঘটনাস্থলে ম্যাজিস্ট্রেটও উপস্থিতিত ছিলেন। এই আবহে পুলিশ দাবি করছে, নির্বাচনের প্রাক্কালে গ্রামে গ্রামে গিয়ে নগদ টাকা বিলি করছিলেন সঞ্জয়। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়েই পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলে সঞ্জয় ও তাঁর সঙ্গীদের। এদিকে টাকা উদ্ধারের পর সঞ্জয় এবং বাকি ধৃতদের জেরা করছে পুলিশ। তবে টাকা কোথা থেকে এলো বা কী কারণে তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেই সংক্রান্ত কোনও নথি বা জবাব দিতে পারেননি ধৃতরা।
আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে কাজ করলে মিলবে না ভ্যারিয়েবল পে, কড়া নির্দেশ এই ভারতীয় IT সংস্থার
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি (সমতল) অরুণ মণ্ডল। তাঁর বক্তব্য, 'দেড় লাখ টাকা কি বিলিয়ে দেওয়ার মতো? তৃণমূলের ঘরে ৫০ লক্ষ থেকে ৫০ কোটি টাকা পাওয়া যায়। বিজেপি নেতা উপার্জিত অর্থ নিয়ে কোনও প্রয়োজনে যাচ্ছিলেন। আর তিনি নাকি টাকা বিলোচ্ছেন। লাখ টাকা কোথায়, কাকে দেবে?'
অপরদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, 'বিজেপির মণ্ডল সভাপতির গাড়ি থেকে টাকা পাওয়া কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বিজেপি গোটা ভারতে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার উদ্দেশে এগিয়ে চলেছে। বাংলা জুড়ে যত বিজেপি নেতা আছেন তাঁরা এ ভাবেই আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত। বিজেপি জেনেশুনে আইন ভঙ্গ করে। বিজেপির কাছে যে বিপুল পরিমাণ অবৈধ টাকা আছে, ভোটের আগে তা তাঁরা কাজে লাগায় এভাবেই।'