নির্বাচনী-বন্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। অনেকের মতে, এটা শুধু দেশ নয়, গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। নির্বাচনী বন্ডের টাকা বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানিয়েছে সিপিএম। এবার নির্বাচনের খরচ তোলার জন্য প্রতিটি বুথের ওপরে জোর দিয়েছে সিপিএম। প্রতিটি বুথ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সিপিএমের। যদিও বিষয়টি নতুন কিছু নয় । প্রতিবারই ভোট আসলে এভাবে বুথে বুথে অর্থ সংগ্রহ করে সিপিএম। তাই নির্বাচনের খরচ তুলতে এবারও একইভাবে মাঠে নেমে পড়েছেন দলের নেতা কর্মীরা।
আরও পড়ুনঃ সকালে তৃণমূলে যোগ, দুপুর হতে না হতেই মোহভঙ্গ, দলে ফিরলেন সিপিএম নেতা
পূর্ব বর্ধমানের জেলা সিপিএম নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নির্বাচনী খরচের জন্য আর কেন্দ্রীয় ভাবে নয়, বুথ থেকেই নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করা হবে। সেক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রার বেশি অর্থ সংগ্রহ হলেও বুথ পিছু ৩-৫ হাজার টাকা খরচের পরিকল্পনা রয়েছে সিপিএমের। তবে গ্রামের দিকে এই পরিমাণ অর্থ খরচ করা হলেও আবার শহরাঞ্চলের দিকে এই খরচের লক্ষ্যমাত্রা কিছু বেশি রয়েছে।
এই সমস্ত টাকা মূলত নির্বাচনী প্রচারের কাজে খরচ করা হবে। যেমন- বুথের দেওয়াল রং করা থেকে লেখা, মাইক ভাড়া , পতাকা-ফেস্টুন, ভোটের দিনের বুথ খরচ প্রভৃতি খরচ । এই মর্মে গত বছরের শেষের দিকেই সিধান্ত নিয়েছিল সিপিএম। এরজন্য কৌটো হাতে করে অর্থ সংগ্রহের পাশাপাশি কুপন ছাপিয়ে অর্থ সংগ্রহ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে সিপিএম। প্রসঙ্গত, পূর্ব বর্ধমান জেলায় সিপিএমের ৩১ টি এরিয়া কমিটি রয়েছে। কোনও বুথ থেকে কম বা বেশি অর্থ সংগ্রহ হলে এরিয়া কমিটি তা নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখে চলবে বলে জেলার সিপিএম নেতৃত্ব জানয়েছেন। আবার কোনও এরিয়া কমিটি বেশি অর্থ সংগ্রহ করলে তার অর্থ জেলা নির্বাচনী তহবিলে জমা রাখা হবে।
এর পাশাপাশি নির্বাচনী বন্ড নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের দুর্নীতিও প্রচার করতে বলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রতিটি বুথের অন্তত ৮০ শতাংশ পরিবারের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যপমাত্রা রয়েছে সিপিএমের। সেই সঙ্গে কেন এই টাকা জোগাড় করা হচ্ছে সেই কথাও সাধারণ মানুষকে বোঝাতে বলা হয়েছে। সিপিএম সুত্রে জানা গিয়েছে, ১০, ২০, ৫০ টাকার কুপন ছাপা হয়েছে। এনিয়ে সিপিএমকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। তাদেরর বক্তব্য, দান কমেছে, সদস্য সংখ্যা কমেছে তাই চাঁদা চাইতে বেরিয়েছে সিপিএম।