আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। বিগত নির্বাচনগুলিতে কমিশন প্রত্যক্ষ করেছে ভোট কর্মীরা নানা অজুহাত দেখিয়ে ভোটের কাজ থেকে অব্যাহতি পেতে চেয়েছেন। যার মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখানো হয়েছে। এবার তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভোট কর্মীদের ডিউটি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ব্যাপারে আরও কঠোর পদক্ষেপ করল রাজ্য প্রশাসন। সে ক্ষেত্রে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হচ্ছে। সেই মেডিক্যাল বোর্ডে আবেদনকারী ভোট কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে প্রশাসন পদক্ষেপ করবে।
আরও পড়ুনঃ তিনজন পর্যবেক্ষক বাংলায় পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন, আর্থিক স্পর্শকাতর তকমা মিলছে
প্রাথমিকভাবে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে এই মেডিক্যাল বোর্ড গড়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন জেলাশাসকরা। কারণ আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন হবে এই ৩ কেন্দ্রে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রতিটি জেলার একটি নির্দিষ্ট হাসপাতালে এই মেডিক্যাল বোর্ড করা হবে। সেক্ষেত্রে আবেদনকারী সরকারি কর্মচারীরা সরকারি হাসপাতালে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে পারবেন। আগামী ২২ মার্চের মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে।
এই মেডিক্যাল বোর্ড আবেদনকারী ভোট কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে। তার ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে যে আবেদনকারী ভোট কর্মীকে ভোটের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে কিনা। প্রাথমিকভাবে এই জেলাগুলিতে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হলেও দ্রুত অন্যান্য জেলাগুলিতে একইভাবে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।
যদিও প্রশাসনের উদ্যোগে আপত্তি জানায়নি ভোট কর্মীদের ঐক্য মঞ্চ। তবে তাদের বক্তব্য, শিক্ষকদের শিক্ষা বহির্ভূত কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এ নিয়ে কেন্দ্রের একটি নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষকদের কোনওভাবেই শিক্ষা বহির্ভূত কাজে ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু, সেই নিয়ম না মেনে নির্বাচন কমিশন শিক্ষকদের ভোটের কাজে ব্যবহার করছে। তা একেবারে ঠিক কাজ নয়। সে ক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রের নিয়মকে মান্যতা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভোট কর্মীরা ভোটের কাজ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে থাকেন। মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের ফলে এবার তা বন্ধ হবে। একই সঙ্গে যারা প্রকৃত অসুস্থ তাদের কোনও সমস্যা হবে না বলেই জানিয়েছেন প্রশাসনের এক আধিকারিক।