একদিনের মধ্যেই 'ভুল' শুধরে নিল নির্বাচন কমিশন। লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি দেশের চারটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনাও আগামী ৪ জুন বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে রবিবার কমিশনের তরফে জানানো হল যে অরুণাচল প্রদেশ এবং সিকিম বিধানসভা ভোটের গণনার দিন এগিয়ে আনা হচ্ছে। ৪ জুনের পরিবর্তে ২ জুন ওই দুটি রাজ্যে বিধানসভা ভোটের গণনা হবে। সেদিনের মধ্যেই ভোটপ্রক্রিয়া পুরো মিটিয়ে ফেলা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। কারণ অরুণাচল প্রদেশ এবং সিকিমের বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৪ সালের ২ জুনই। সেক্ষেত্রে ৪ জুন যদি গণনা করা হয়, তাহলে বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভোটপ্রক্রিয়া মেটানো যাবে না। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই ভোটগণনার দিনক্ষণ এগিয়ে আনা হল। তবে বাকি যে দুটি রাজ্যে (অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা) বিধানসভা ভোট হচ্ছে, সেখানে ৪ জুন গণনা হবে। আর লোকসভা ভোটেরও গণনা হবে ৪ জুন। সিকিম ও অরুণাচলের লোকসভা আসনের গণনাও ৪ জুন হবে বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে।
এমনিতে ১৯ এপ্রিল একদফায় অরুণাচল এবং সিকিমে বিধানসভা ভোট হতে চলেছে। অরুণাচলে মোট বিধানসভা আসনের সংখ্যা হল ৬০। অর্থাৎ ম্যাজিক ফিগার হল ৩১। গতবার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ঝুলিতেই ৪১টি আসন গিয়েছিল। স্বভাবতই সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু। অন্যদিকে, সিকিমে মোট বিধানসভার সংখ্যা হল ৩২। আর ম্যাজিক ফিগার হল ১৭। গতবার বিধানসভা নির্বাচনে ১৭টি আসনই দখল করেছিল সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চা। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন প্রেম সিং তামাং।
লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ও গণনার দিনক্ষণ
এবার সাতটি দফায় লোকসভা ভোট হবে। গতবারও সাতটি দফায় ভোট হয়েছিল। গতবারের মতো এবারও পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে সাতটি দফায় ভোটগ্রহণ হবে। ২২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে একদফায় ভোটগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
১) প্রথম দফা: ১৯ এপ্রিল।
২) দ্বিতীয় দফা: ২৬ এপ্রিল।
৩) তৃতীয় দফা: ৭ মে।
৪) চতুর্থ দফা: ১৩ মে।
৫) পঞ্চম দফা: ২০ মে।
৬) ষষ্ঠ দফা: ২৫ মে।
৭) সপ্তম দফা: ১ জুন।
৮) ভোটগণনা: ৪ জুন।