আদর্শ আচারণ বিধি ভঙ্গ হতে পারে, তাই উত্তরবঙ্গে ভোট চলাকালীন সেখানে না যাওয়ার পরামর্শ দিল নির্বাচন কমিশন। উত্তরবঙ্গের তিন কেন্দ্রে আগামী ১৯ এপ্রিল নির্বাচন। ভোটের প্রচারের পর্বে শেষে এখন সেখানে সাইলেন্স পিরিয়ড চলছে। ভোটার, ভোটের কাজে যুক্ত প্রশাসনিক আধিকারিক ছাড়া আরও কেউ যেতে পারবেন না ওই এলাকায়। তাই রাজ্যপাল গেলে বিধি ভঙ্গ হবে। সে কারণে নির্বাচন কমিশন বোসকে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
তবে অন্য একটি কারণেও রাজ্যপালকে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কমিশন। রাজ্যপাল কোথাও গেল প্রোটোকল মানতে হয়। তিনি যে জেলায় যাবেন, সেই জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ পুলিস সুপারকে উপস্থিত থাকতে হবে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে। তাছাড়া রাজ্যপালের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রাখতে হবে।
আরও পড়ুন। প্রথম দফার নির্বাচনে কোচবিহারে থাকবেন রাজ্যপাল, সিদ্ধান্ত নিলেন আনন্দ বোস
কিন্তু ভোটচলাকালীন রাজ্যপালকে অভ্যর্থনা জানাতে যাওয়া মানে তাঁকে বিড়ম্বনার মধ্যে ফেলা। কারণ, তিনি জেলা নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক। নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে ব্যস্ত থাকবেন নির্বাচনের কাজে। এর ফলে রাজ্যপালের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হবে। এই সব কিছু বিচার করে রাজ্যপালকে যেতে নিষেধ করেছে কমিশন।
ঠিক ছিল বৃহস্পতিবার সকালে উত্তরবঙ্গে যাবেন রাজ্যপাল। শুক্রবার আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে ভোট রয়েছে। তিনি সরেজমিনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবেন। ভোট চলাকালীন কোচবিহারে থাকবেন। ভোট মিটলে শুক্রবার রাতে কলকাতা ফিরবেন। কিন্তু কমিশন তাতে বাধ সেধেছে। কমিশনের এই চিঠির পর রাজভবন কী সিন্ধান্ত নিল তা জানা যায়নি। তবে চিঠির যুক্তি মেনে রাজ্যপাল না যাওয়ারই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
আরও পড়ুন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে যাদবপুর সহ ৫ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ রাজ্যপালের
ভোট ঘোষণার পর মাঝে মাঝে উত্তপ্ত হয়েছে কোচবিহার। নানা অশান্তির খবর এসেছে দিনহাটা, শীতলকুচি থেকে। আগে প্রতিটি ভোটে কোচবিহার উত্তপ্ত হয়েছে। সেই কারণেই রাজ্যপাল ভোট চলাকালীন সরেজমিনে কোচবিহারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন। রাজ্যের তালিকা থেকেই উপাচার্য নিয়োগ, সুপ্রিম নির্দেশকে স্বাগত বোসের