প্রতিবারই বিজেপি ভোট চুরির অভিযোগ তোলে। কিন্তু ভোট মিটে যাওয়ার পরে ভোট চুরির কথা বলে আর কী হবে! তবে এবার অবশ্য এই ভোট চুরি নিয়ে আগাম সতর্ক বিজেপি। সেই নিরিখে এবার আগেভােগেই এই ভোট চুরি রুখতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে গেরুয়া শিবির। প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় এই ভোট চুরি রুখতে প্রশিক্ষণ দেবে বিজেপির যুব মোর্চা। শনিবার থেকেই এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আগামী মে মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
কীভাবে নিজের এলাকার বুথ লুঠেরাদের হাত থেকে রক্ষা করবেন সেটাই শেখানো হবে বিজেপির বুথ স্তরের কর্মীদের। এটা না শিখলে আখেরে বুথ রক্ষা করা সম্ভব নয়। সেকারণেই এই উদ্যোগ।
কেন্দ্রীয় বাহিনী এবার প্রতিটি বুথে পাহারায় থাকবে। কিন্তু তারপরেও ভোট লুঠের আশঙ্কা করছেন বিরোধীরা। সেক্ষেত্রে কীভাবে বুথ রক্ষা করা যায় সেটাই এখন দেখার। সেকারণে এবার বুথ রক্ষার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিজেপি কর্মীদের এনিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা থেকে এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। এরপর শীতলকুচি ও মাথাভাঙায় এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
এদিকে বিজেপি শিবির মনে করছে ভুয়ো ভোটারের মাধ্য়মে ভোটের শতাংশ বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। এটাই করতে চাইছে শাসকদল। সেকারণে আগাম সতর্ক হতে হবে। না হলেই বড় বিপদ হতে পারে। বয়স্ক ভোটার যারা বাড়িতে বসে ভোট দেবেন তাদের যাতে কেউ প্রভাবিত করতে না পারেন সেটা দেখা দরকার।
বাড়ি থেকে যাতে ভোটাররা বুথ পর্যন্ত আসতে পারেন সেটা নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে। তবে ঠিক কী কৌশলে ভোট চুরি আটকাতে চায় সেটা একেবারে সিক্রেট বিজেপির কাছে। সেটা একেবারেই প্রকাশ্যে আনতে চাইছে না বিজেপি।
এদিকে বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের মতে, প্রতিবারই ভোট এলেই ভোট লুঠেরাদের দল কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়ে। ভোটের দিন নানা কৌশল প্রয়োগ করে তারা।
কোথাও সকাল থেকেই বোমাবাজি করে ভোট প্রক্রিয়াকে বানচাল করে দেওয়া হয়। আবার কোথাও গ্রামের ভেতর ভয় দেখিয়ে ভোটারদের আসতে বাধা দেওয়া হয়। কোথাও আবার দেখা যায় যে বুথ জ্যাম করে দেওয়া হয়। এর জেরে লাইন কিছুতেই এগোতে চায় না। এই সুযোগটাই নেয় শাসকদল। তার উপর ভোটার লিস্টে কারচুপি তো থাকেই।