লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নেমে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে বেনজির আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। ১৬ বছর আগেকার বাটলা হাউস এনকাউন্টারের প্রসঙ্গ টেনে এনে সোনিয়ার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপি সভাপতি। ওই এনকাউন্টারে সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুতে সোনিয়া গান্ধী কেন কেঁদেছিলেন? দেশের শত্রু সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে সোনিয়া গান্ধীর কী সম্পর্ক ছিল? তাই নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন জেপি নড্ডা।
আরও পড়ুন: অবশেষে উদ্ধার জেপি নড্ডার স্ত্রীয়ের গাড়ি,ধৃত ২
বিহারের মধুবনীতে একটি নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময় জেপি নড্ডা তীব্র ভাষায় কংগ্রেস নেত্রী এবং ইন্ডিয়া জোটকে আক্রমণ করেন। তাঁর অভিযোগ, যে শত্রুরা ভারতকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে, তাদের সমর্থন করেছেন সোনিয়া গান্ধী। বিজেপির সভাপতি বলেন, ‘বাটলা এনকাউন্টারের সময় সন্ত্রাসবাদীরা নিহত হয়েছিল। কংগ্রেসের নেতারাই বলেছিলেন যে মৃত সন্ত্রাসবাদীদের প্রতি সোনিয়া গান্ধী সহানুভূতি দেখিয়েছিলেন। তাদের জন্য তিনি কেঁদেছিলেন।’ এর পরেই নড্ডার প্রশ্ন, ‘বিশ্বাসঘাতকদের সঙ্গে আপনার কিসের সম্পর্ক? আপনার সহানুভূতির পিছনে কী কারণ রয়েছে?’
উল্লেখ্য, বাটলা হাউস এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটেছিল ২০০৮ সালে। সেই সময় দুপক্ষের গুলি লড়াইয়ে নিহত হয়েছিলেন দিল্লি পুলিশের ইন্সপেক্টর মোহন শর্মা এবং আতিফ ও সাজিদ নামে দুই ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের দুই সন্ত্রাসবাদী। সেই সময় এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশের রাজনীতিতে। পরে ২০১২ সালে একটি নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখার সময় তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সালমান খুরশিদ দাবি করেছিলেন, এনকাউন্টারের পরেই তিনি সোনিয়া গান্ধীর কাছে গিয়েছিলেন। সেই দৃশ্য দেখে সোনিয়া গান্ধীর চোখের জল চলে এসেছিল। তিনি দ্রুত সেই দৃশ্য তাঁর কাছ থেকে সরিয়ে নিতে বলেছিলেন।
যদিও পরে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং সলমান খুরশিদের দাবিকে খণ্ডন করেছিলেন। তিনি পালটা দাবি করেছিলেন এরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। সোনিয়া গান্ধী কান্না করেননি। এটা সলমান খুরশিদের নিজের কথা ছিল। ফলে সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুতে সোনিয়া গান্ধীর কান্নার বিষয়টি নিয়ে সভ্যতা প্রমাণিত হয়নি। অথচ সেই বিষয়টিকে হাতিয়ার করেই কংগ্রেস নেত্রীকে আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
একই সঙ্গে তিনি ইন্ডিয়া জোটকে অহংকারী জোট কটাক্ষ করেছেন জেপি নড্ডা। সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্য তাঁর প্রশ্ন, ‘যারা দেশকে দুর্বল করতে চায় কংগ্রেস তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। এই অহংকারী ইন্ডিয়া জোটকে আপনারা কি সমর্থন করবেন?’ জেপি নড্ডার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। অন্যদিকে, এদিনের সভায় ১০ বছরের শাসনকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে বলেই দাবি করেন বিজেপি সভাপতি।