চতুর্থ দফায় আরও দুটি লোকসভা আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল বামফ্রন্ট। আরামবাগ থেকে খানাকুলের প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক বংশীবদন মৈত্রের ছেলে বিপ্লবকুমার মৈত্রকে প্রার্থী করা হয়েছে। আর সোনামণি মুর্মুকে (টুডু) ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্র থেকে দাঁড় করিয়েছে বামফ্রন্ট। দু'জনেই সিপিআইএমের টিকিটে লড়াই করবেন। আর সেই ঘোষণার ফলে আপাতত রাজ্যের ২৩টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে ফেলল বামফ্রন্ট। তবে শুক্রবার আরও বেশি সংখ্যক আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করার পরিকল্পনা ছিল বলে জানিয়েছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। কিন্তু কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে জোটের বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত না হওয়ায় শুক্রবার মাত্র দুটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হল। তবে কংগ্রেস এবং আইএসএফের সামনে ৩১ মার্চের ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিয়েছেন বিমান। তিনি জানিয়েছেন যে ৩১ মার্চের মধ্যে চূড়ান্ত প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করতে চাইছে বামফ্রন্ট।
কোচবিহার নিয়ে বার্তা বামফ্রন্টের
জোটের বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও কোচবিহারে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে কংগ্রেস। যে আসনে আগেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে বামফ্রন্ট। সেই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস প্রার্থী যাতে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন, সেই বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এখনও আলোচনার সুযোগ আছে। কিন্তু আলোচনার সুযোগ আছে বলে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করবে, এটা হবে না।’
কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে বামফ্রন্ট
কোচবিহার আসনে কংগ্রেস প্রার্থী দিলেও এখনও জোট নিয়ে আশা ছাড়ছে না বামফ্রন্ট। বরং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বদলা নয়, বদল চাই’ স্লোগানই যেন বামেদের কাছে আদর্শ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোচবিহার নিয়ে কিছুটা হতাশা প্রকাশ করলেও বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান দাবি করেন, এভাবে কখনও বৃহত্তর মঞ্চ তৈরি করা যায় না। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে। যা সার্বিকভাবে বোঝাপড়ার পথ প্রশস্ত করবে।
সেইসঙ্গে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বলেন, ‘কংগ্রেসের সঙ্গে (জোটের কথাবার্তা) খানিকটা এগিয়েছে। মনে হচ্ছে যে সবই মিটে যাবে। সেটার জন্য কিছুটা সময় দিতে হবে তো।’ যদিও এখনও কত সময় লাগবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জোটের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য তো তাঁদের হাতে পাঁচ বছর ছিল। বামফ্রন্ট নেতাদের অবশ্য বক্তব্য, ১ এপ্রিল থেকেই পুরোদমে প্রচার শুরু করলে কোনও সমস্যা হবে না। আর যেহেতু সাত দফায় নির্বাচন হচ্ছে, তাই হাতে কিছুটা সময় পাওয়া যাচ্ছে।