হুগলির বিদায়ী সাংসদ তথা ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে হুগলি কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গাড়িতে হামলার অভিযোগ। ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই। হামলার ঘটনাটি ঘটে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সেনপুকুর এলাকায়। সপ্তগ্রামের বাঁশবেড়িয়ায় কালীতলার কাছে রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বিদায়ী সাংসদের গাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এই হামলার ঘটনাটি বাঁশবেড়িয়ার উপপুরপ্রধানের নেতৃত্বে হয়েছে বলে অভিযোগ হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির আহ্বায়ক সুবীর নাগ এবং স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের। ঘটনায় জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। নির্বাচন কমিশনেও অভিযোগ জমা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজেপি। অবশ্য হামলার সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। (আরও পড়ুন: দুর্ঘটনার কবলে সৌগত রায়, ম্যাটাডরের ধাক্কায় দুমড়ে গেল তৃণমূল সাংসদের গাড়ি)
আরও পড়ুন: পালটে যাবে কলকাতা মেট্রোর নকশা, শুরু হল নয়া ভূগর্ভস্থ স্টেশন তৈরির কাজ
জানা গিয়েছে, শনিবার বাঁশবেড়িয়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে সেনপুকুর এলাকায় কালীপুজোয় যোগ দিতে গিয়েছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেখান থেকে ফেরার পথেই তাঁর গাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ বিজেপি নেত্রীর। তিনি নিজে সেই 'হামলার' ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করে ফেলেন। অভিযোগ, লকেটকে কালো পতাকা দেখানো হয় এবং 'গো ব্যাক' স্লোগান তোলা হয়। পাশাপাশি লকেটের গাড়িতে আঘাত করার অভিযোগও উঠেছে। বিদায়ী সাংসদ দাবি করেন, তাঁর গাড়ির কাচ ভাঙার চেষ্টা করে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। (আরও পড়ুন: রাজনীতিতে নাক গলানোর চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান, তবে ৫ বছর সেই খবর গোপন রাখে কানাডা)
আরও পড়ুন: দশম শ্রেণির বই থেকে বাদ তৃণমূল-CPI, দ্বাদশের বইতে জুড়ল ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার
ঘটনা প্রসঙ্গে পরে লকেট চট্টোপাধ্যায় সবিস্তারে বলেন, 'রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ সপ্তগ্রামের বাঁশবেড়িয়ার কালীতলায় গিয়েছিলাম আমি। সেখানে কালীপুজোয় যোগদান করি। তারপর কালীতলা থেকে ফেরার সময় গাড়িতে উঠেই দেখি কিছু লোক গাড়িটা ঘিরে ফেলেছে। তাঁদের হাতে বাঁশ ছিল। তাতে কালো পতাকা লাগানো। তাঁরা গাড়ির সামনে চলে আসন। অশ্রাব্য ভাষা প্রয়োগ করেন, গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন। আমার গাড়িতে আঘাত করতে থাকেন। আমার নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের বোঝাতে গেলেও তারা কোনও কথা শোনেননি। আমি ঘটনার ভিডিয়ো করতে শুরু করলে ওরা আরও বেশি করে আঘাত করতে থাকে। এরপর ভিডিয়ো বন্ধ করে দিই আমি। আমার সিটের পাশের কাচ ভাঙার চেষ্টা হয়। একজন তো গাড়িতে ওঠারও চেষ্টা করেন। ড্রাইভার তাকে ধাক্কা দিয়ে গাড়ির দরজা বন্ধ করে দেন। আমার গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে। বড় ষড়যন্ত্র ছিল, আমরা কিছু জানতে পারিনি। শিল্পী চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এসব হয়েছে। একজন মহিলার উপর এরকম হামলা হলে এই রাজ্যটা কোথায় দাঁড়িয়ে আছে?' এদিকে বাঁশবেড়িয়ার উপপুরপ্রধান শিল্পী চট্টোপাধ্যায়ের পালটা দাবি, কিছু লোক কালো পতাকা নিয়ে গো ব্যাক স্লোগান দিচ্ছিলেন। তখন তা সরাতে গেলে লকেটের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকেই ধাক্কা দেন। তিনি নিজে আঘাত পেয়েছেন এই ঘটনায়।