শুরু হয়ে গেল 'গণতন্ত্রের উৎসব'। লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় আজ বাংলার ৩ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। সাত সকাল থেকেই জায়গায় জায়গায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে মাথাভাঙায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের অস্বাভাবিক মৃত্যু হল। রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃত জওয়ানের নাম নীলেশকুমার নীলু। বয়স ৪২ বছর। তিনি বিহারের বাসিন্দা। কোচবিহারের মাথাভাঙায় সিআরপিএফ জওয়ানের রহস্যমৃত্যু নিয়ে পুলিশ জানাচ্ছে, ভোটকেন্দ্রেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন নীলেশকুমার। আচমকা নাক-মুখ থেকে রক্ত বের হতে শুরু করে সেই জওয়ানের। পরে তাঁকে মাথাভাঙা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: LIVE WB Lok Sabha Vote: বাংলার ৩ কেন্দ্রে শুরু ভোট, সাত কালে উত্তেজনা কোচবিহারে)
আরও পড়ুন: Lok Sabha Vote LIVE: আজ ১০২ কেন্দ্রে ১৬২৫ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ, শুরু হল ভোট
এদিকে অপর এক ঘটনায় কোচবিহারে দেওচড়াই গ্রাম পঞ্চায়েতে ৮/২৬১ নং বুথে তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষ ঘটে গতারাতে। এতে আহত হন একাধিক। আহতদের তুফানগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ভোটের দিনও সকাল সকাল কোচবিহারে উত্তেজনা তৈরি হয়। কোচবিহার জেনকিন্স স্কুলের বুথে উত্তেজনা দেখা গেল সকাল সকাল। অভিযোগ, নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ও তৃণমূলের পতাকা লাগানো হয়েছে। এই বিষয়ে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। পরে ছবি-পতাকা সরিয়ে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস।
এমনিতে আজ রাজ্যের ১০০ শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কোচবিহারে ৪৭টি, আলিপুরদুয়ারে ২৩টি, জলপাইগুড়িতে ১৩টি, শিলিগুড়িতে তিনটি কুইক রেসপন্স টিম রাখা হয়েছে। এ ছাড়া তিন কেন্দ্রে রাজ্য পুলিশের মোট ১২,৩১০ জন কর্মীকে নিযুক্ত করেছে কমিশন। এদিকে ভোটের দিন তিন জেলায় অবাধ নির্বাচন এবং নিরাপত্তা বজায় রাখতে পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন। বুথে বুথে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার ‘ওয়েব কাস্টিং’ হবে। কলকাতার কন্ট্রোল রুমে বসে তার ওপর নজর রাখবেন কমিশনের আধিকারিকরা।
রিপোর্ট অনুযায়ী, কোচবিহারে সাধারণ পর্যবেক্ষক হলেন আইএএস রবিকুমার সুরপুর। এ ছাড়া জলপাইগুড়িতে আইএএস সুধাংশুমোহন সমল এবং আলিপুরদুয়ারে আইএএস পাটিল যালাগৌদা শিবাংগৌদাকে সাধারণ পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। কোচবিহারের পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসাবে থাকছেন আইপিএস কুমার বিশ্বজিৎ। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ পর্যবেক্ষক আইপিএস পুনীত রাস্তোগি এবং জলপাইগুড়ির পুলিশ পর্যবেক্ষক আইপিএস সিএস রাও। পাশাপাশি ৭০০ জন মাইক্রো অবজার্ভারও থাকবেন এই তিন কেন্দ্রে।