হাতে আর ৬ দিন। তারপরই শুরু হয়ে যাবে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব। ইতিমধ্যেই জোরদার প্রচার শুরু করেছে সব রাজনৈতিক দল। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরম। এই আবহে বাংলায় লোকসভা নির্বাচনে এবার এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। ভোটগ্রহণ–পর্ব চলাকালীন কোনও ভোটকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দিতেই এই বন্দোবস্ত করেছে রাজ্য সরকার। লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মচারী এবং নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য এই ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
আগামী ১৯ এপ্রিল শুরু হচ্ছে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ–পর্ব। সেখানে গরম পড়েছে মারাত্মকভাবে। তাই যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। এই আশঙ্কা থেকেই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যার নোডাল অফিসার হিসেবে রাখা হয়েছে রাজ্য পুলিশের আইজি (অর্গানাইজেশন) হৃষিকেশ মিনাকে বলে সূত্রের খবর। এই বিষয়টি সমস্ত জেলা পুলিশকে জানানো হয়েছে। বাংলায় লোকসভা নির্বাচন হবে সাত দফায়। ১৯ এপ্রিল থেকে ভোট চলবে ১ জুন পর্যন্ত। গণনা ৪ জুন। এই দিনগুলির জন্য একটি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এই বিমানে আধুনিক হাসপাতালের মতো আইসিইউ সুবিধা থাকছে।
আরও পড়ুন: ‘বাংলায় লুকিয়ে ছিল, দু’ঘণ্টার মধ্যে ধরে দিয়েছি’, ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে গ্রেফতার নিয়ে দাবি মমতার
এদিকে বিমানটি ১৭ এপ্রিল কলকাতা বিমানবন্দরে আসবে। পরে প্রয়োজনে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স শিলিগুড়ি এবং খড়্গপুরেও যেতে পারে। হরিয়ানার একটি সংস্থার থেকে ৪৮ দিনের জন্য এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়ায় নেওয়া হচ্ছে। সম্ভাব্য খরচ ১ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা। এই বিমানের দুটি ইঞ্জিন। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে। এখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা থাকবেন। তীব্র দাবদাহে ভোটকর্মী বা নিরাপত্তাকর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তখন এই বিমান গিয়ে তাঁকে তুলে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেবে। আবার এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৌঁছে দিতে পারে।
অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাঁদের জওয়ানদের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সাহায্য করতে পারবে। প্রশাসন সূত্রে খবর, সমস্ত কর্মচারী এবং পেনশনভোগীর জন্য ২০১৪ সালে তৈরি হয়েছে রাজ্যের ‘ক্যাশলেস মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট স্কিম’। তার আওতায় এই সুবিধা দেওয়া হবে রাজ্যে নির্বাচনের ডিউটিতে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও। লোকসভা নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে যাবতীয় চিকিৎসার খরচ বহন করবে রাজ্য সরকারই।