লোকসভা নির্বাচনের সভা থেকে আবার বিজেপি প্রার্থীদের তুলোধনা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে যাঁদের বের করে দিয়েছে, তাঁদের বিজেপি প্রার্থী করেছে। এমনকী যাঁদের নামে অপরাধের তথ্য রয়েছে বিজেপি তাঁদেরই প্রার্থী করেছে। এটা বিজেপির ‘কলঙ্ক’ বলে আলিপুরদুয়ারের জনসভা থেকে একের পর এক প্রার্থীকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখে উঠে আসে শেখ শাহজাহান থেকে শুরু করে আরাবুল ইসলামের নাম। তবে নাম না করলেও মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় উঠে আসে নিশীথ প্রামাণিকের কথা। একদিন আগেও কোচবিহারে সভা করার ক্ষেত্রে একই কথা বলেছিলেন তিনি।
এদিকে আজ, শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধায়ের নিশানায় ছিলেন কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি তো আমাদের কর্মী আরাবুলকে গ্রেফতার করতে পারি। শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারি, তোমরা কেন গুন্ডাকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাখো? তোমাদের গুন্ডা কীভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? গুজরাট, উত্তরপ্রদেশে কী হচ্ছে? রিপোর্ট প্রকাশ করুন।’ প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুতরাং বিজেপির প্রার্থী যে অপরাধের সঙ্গে জড়িত এবং তাঁকেই প্রার্থী করেছে বিজেপি সেটাই জনগণের সামনে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: এবার সব থেকে কম আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে সিপিএম, পাঁচ দশকের পরিসংখ্যান রইল
অন্যদিকে বাংলার বিরুদ্ধে দুর্নীতিকে ইস্যু করেছে বিজেপি। সেটা নির্বাচনী প্রচারে চাউর করে যাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। সেখানে আজকের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পালটা জবাব, ‘বাংলাকে দুর্নীতি শেখাতে আসতে হবে না। আপনার গদ্দাররা দুর্নীতিবাজ নয়! আরাবুল–শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সন্দেশখালির ঘটনায় সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্যে এসে দুর্নীতি নিয়ে বড় বড় কথা বলেন নরেন্দ্র মোদী। বাংলায় আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিয়েছি। গুজরাটে কী হয়েছে? রিপোর্ট প্রকাশ করুক।’
এছাড়া এই সভা থেকে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থীকে নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘এখানে পাঁচ বছর ধরে সাংসদ ছিলেন। তোমরা তাঁকে কাজ করতে দাওনি। সে চলে গেল। এখন আবার আর একজনকে নিয়ে এসেছে। বৈশাখ মাসে একটা দেবে, জৈষ্ঠ্য মাসে একটা দেবে। পচা ভাদ্রে ডুবে মরবে। প্রধানমন্ত্রীবাবু কার হয়ে মিটিং করেছেন? তিনি নাকি আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? তিনি অন্যকে দুর্নীতিবাজ বলেন। আমরা তাঁকে জলপাইগুড়ি–কোচবিহার থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম। সে পাচার করত, খুন করত, বোমা বানাত, আমার কাছে সব লেখা আছে, তার বিরুদ্ধে কত কেস আছে? এত কেস থাকলে কেউ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে পারে? আমাদের কাছে আপদ, সে নাকি বিজেপির সম্পদ।’