ক্ষমতায় ফিরলে রাজ্যে দুর্নীতির টাকা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই দাবি করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় ও মন্ত্রী শশী পাঁজা। এদিন মহুয়া মৈত্রকে দিল্লিতে ইডির তলবকেও রাজনৈতিক উদ্দেশপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
এদিন সুখেন্দুশেখরবাবু বলেন, ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অন্য অনেক রাজ্যেও তো এরকম টাকা উদ্ধার হয়েছে। সেখানে কেন এরকম করেননি কেন্দ্রীয় সরকার? তাছাড়া নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। সেই বিষয়ে মন্তব্য করতে পারেন না প্রধানমন্ত্রী। এব্যাপারে তৃণমূল কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার ব্যাপারে ভাবছে বলে জানান সুখেন্দুশেখরবাবু।
আরও পড়ুন: CM-র উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার ছক, গ্রেফতার প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিকের ছেলে
মঙ্গলবার রাতে কৃষ্ণনগরের রানিমা তথা বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়কে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে বলেন, ‘বাংলায় ইডি এদের প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা অ্যাটাচ করেছে। এটা গরিবের টাকা। কেউ শিক্ষক হওয়ার জন্য টাকা দিয়েছে। কেউ করণিক হওয়ার জন্য টাকা দিয়েছেন। নতুন সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গে যা আইনি ব্যবস্থা করতে হয় করে এই যে গরিবের ৩০০০ কোটি টাকা যাদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া হয়েছিল তাদের সবাইকে টাকা ফেরত দিতে চাই। এর কোনও একটা রাস্তা আমি বার করব। আপনি বাংলার মানুষকে এটা বলুন’।
আরও পড়ুন: পার্থ–জ্যোতিপ্রিয়কে আবির মাখাতে গেলেন বন্দিরা, খেপে ফায়ার প্রাক্তন দুই মন্ত্রী
এদিন মহুয়া মৈত্রকে দিল্লিতে তলব নিয়েও সরব হয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের তরফে বলা হয়, মহুয়া মৈত্রকে ভোট প্রচারে বাধা দিতেই পরিকল্পনামাফিক তাঁকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। ভোট প্রক্রিয়া শুরু হতেই কেন মহুয়াকে ডাকার কথা মনে পড়ল তাদের?
ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন কাণ্ডের তদন্তে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের অভিযোগ ওঠায় মহুয়া মৈত্রকে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। দিন কয়েক আগেই বিষয়টির তদন্তভার CBIকে দিয়েছে লোকপাল।