ইউসুফ পাঠান। একদিকে ক্রিকেটার। আর অন্যদিকে বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী। এদিকে ইউসুফকে প্রথম থেকে বহিরাগত বলে দাগিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল। এবার সাংবাদিকদের কাছে তা নিয়েই ছক্কা হাঁকালেন ইউসুফ। ইউসুফ বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী তো গুজরাটের। কিন্তু তিনি কোথা থেকে দাঁড়ান সেটা কি আপনি জানেন! বারাণসী থেকে ভোটে লড়াই করেন তিনি। এই যে ভালোবাসা, আর কাজ করার যে স্পৃহা, আপনার যে ইচ্ছা সেটা থেকে আপনি যেখানে খুশি লড়তে পারেন। এটা তো আমার ঘর। এখানে থাকতে এসেছি আমি।’ কার্যত বহিরাগত খোঁচা উড়িয়ে দিলেন ইউসুফ পাঠান।
ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে প্রার্থী হিসেবে ভারতের জোড়া বিশ্বকাপজয়ী ইউসুফ পাঠানের নাম ঘোষণা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী সম্ভবত বহরমপুরে দাঁড়াচ্ছেন তাঁর বিরুদ্ধে বহরমপুর থেকে প্রার্থী ইউসুফ। এদিকে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর প্রথম থেকেই ইউসুফ সম্পর্কে তির্যত মন্তব্য করছিলেন। বহিরাগত প্রার্থী পছন্দ হয়নি তাঁরও।প্রার্থী হিসেবে ইউসুফের নাম ঘোষণা করা হতেই 'বিদ্রোহী' হয়েছিলেন হুমায়ুন। তবে অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকের পর হুমায়ুন জানান, ইউসুফের হয়ে তিনি প্রচারে নামবেন।
আর ইদানিং দেখা যাচ্ছে সেই হুমায়ুন কবীরকে সঙ্গে নিয়েই ইউসুফ বহরমপুরে চষে বেড়াচ্ছেন। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এবার এই আসনে লড়াই হতে পারে হাড্ডাহাড্ডি। কিন্তু বহিরাগত কাঁটা কার্যত নিজেই উপড়ে দিলেন ইউসুফ পাঠান। কার্যত মোদীর কথা উল্লেখ করেন তিনি। অর্থাৎ মোদী যদি গুজরাটের বাসিন্দা হয়ে বেনারস থেকে দাঁড়াতে পারেন তবে তিনি কেন বাংলায় দাঁড়াতে পারবেন না। সেই সঙ্গেই বাংলাকে যে তিনি ঘর বলে মনে করেন সেকথাও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় ইউসুফের নাম দেখেই মুখ খুলেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সংবাদ সংস্থা এএনআইতে মুখ খুলেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছিলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আধ ঘণ্টা আগে ভাইপো বড় বড় ডায়লগ দিচ্ছিল। আর প্রার্থী করার পরে দেখলাম বাইরে থেকে প্রার্থী এনেছে তৃণমূল। কীর্তি আজাদ কোন বাঙালি জানি না, ইউসুফ পাঠান কোন বাঙালি জানি না। ইউসুফ পাঠান গুজরাট থেকে আসেন। মোদীও গুজরাট থেকে আসেন। মোদী বহিরাগত হয়ে যেতে পারেন। আর ইউসুফ পাঠান নন। এটা কোন ধরনের নিয়ম? কোনও বাঙালি পেলেন না? বাঙালি মুসলমান পেলেন না? গুজরাটি মুসলমান নিয়ে এলেন? লজ্জার ব্যাপার। তৃণমূল বাঙালি বিরোধী দল।’