সম্প্রতি কংগ্রেসের 'সম্পদ পুনর্বণ্টন' প্রতিশ্রুতি নিয়ে তোপ দেগে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে এক জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির বিরুদ্ধে 'তোষণের রাজনীতি' করার অভিযোগ তোলেন মোদী। পাশাপাশি মোদী বলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মানুষজনের সম্পত্তি পুনর্বণ্টন করবে। অবশ্য গতকাল তাঁর ভাষণে 'মুসলিম' উল্লেখ ছিল না। এর একদিন আগেই রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় বলেছিলেন, কংগ্রেস তাদের ইস্তাহারে দাবি করেছে যে দেশের সম্পদ মুসলিমদের মধ্যে পুনর্বণ্টন করবে। তিনি মনমোহন সিংয়ের ২০০৬ সালের এক মন্তব্যকেও হাতিয়ার করেছিলেন কংগ্রেসকে তোপ দাগতে। তবে এরপরে এই নিয়ে পালটা আক্রমণ শানায় কংগ্রেস। এই আবহে আলিগড়ে নিজের শব্দ চয়নের ওপর নজর দেন মোদী। (আরও পড়ুন: ভোটের মুখে নয়া বার্তা অজিত পাওয়ারের, জাতিগত জনগণনার দাবি পদ্ম-সঙ্গীর)
আরও পড়ুন: 'দল বদলে অনেক মূল্য চুকিয়েছি...', BJP-তে যোগদান নিয়ে বললেন বক্সার বিজেন্দ্র সিং
এদিকে আলিগড় লোকসভা কেন্দ্রে মুসলিম জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্য। সেখানে মোদী অভিযোগ করেন, পসমিন্দা মুসলিমদের সঙ্গে ন্যায় করেনি কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টি। তিনি অভিযোগ করেন, তোষণের রাজনীতি করলেও সংখ্যালঘুদের অর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্যে কোনও কাজ করেনি কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টি। এদিকে মোদী নিজের সরকারের বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, 'বিজেপি সরকার তিন তালাকের বিরুদ্ধে আইন এনেছে। হজের কোটা বাড়িয়েছে।' এদিকে সম্পদ পুনর্বণ্টন ইস্যুতে গতকাল মোদী বলেন, 'কংগ্রেসের রাজপুত্র বলেছেন, তারা যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে তারা তদন্ত চালিয়ে বের করবে যে কে কত টাকা কামায় এবং কার কত সম্পত্তি আছে। শুধু এটাই নয়, সরকার সেই সব সম্পত্তি নিয়ে পুনর্বণ্টন করবে। শুধু ভাবুন, আমাদের মা-বোনেদের সোনার গয়না আছে। এটা স্ত্রীধন। আইনও এটাকে রক্ষা করার কথা বলে। এটা পবিত্র। তবে ওরা সেই আইন বদলে মা-বোনেদের সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে চায়।'
আরও পড়ুন: সামরিক বাজেটে চিন থেকে বহু হস্ত পিছিয়ে ভারত, পাকিস্তান কত নম্বরে জানেন?
এর আগে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করে রাহুল বলেছিলেন, 'যত জনসংখ্যা, ততটা অধিকার' নীতির উপর জোর দেবে কংগ্রেস। তিনি বলেন, 'প্রথমে, আমরা পিছিয়ে পড়া জাতি, এসসি, এসটি, সংখ্যালঘু এবং অন্যান্য বর্ণের সঠিক জনসংখ্যা এবং অবস্থা জানতে একটি জাতিশুমারি পরিচালনা করব। এর পরে, আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সমীক্ষা শুরু হবে। তারপরে, তাদের জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে এই সম্প্রদায়গুলির মধ্যে ভারতের সম্পদ, চাকরি এবং অন্যান্য কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিকে বণ্টন করার জন্য ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করা হবে।' রাহুল দাবি করেছিলেন, যে পিছিয়ে পড়া জাতি, দলিত, সংখ্যালঘু এবং আদিবাসীরা ভারতের জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ। কিন্তু সরকারি চাকরি, বড় কোম্পানি এবং অন্যান্য সেক্টরে তাদের সামান্যই অংশিদারিত্ব রয়েছে। এদিকে কংগ্রেসের এই প্রতিশ্রুতিকেই হাতিয়ার করে মোদী পালটা আক্রমণ শানাচ্ছেন।