বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সে (এনসিপি) যোগ দেওয়ার প্রায় আট মাস পর ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা প্রফুল্ল প্যাটেলের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই)।
এনিয়ে কংগ্রেস নেতা পবন খেরা বলেন, একটি ওয়াশিং মেশিন আর ওয়াশিং পাউডার বাজারে এসেছে। সেটা হল মোদী ওয়াশিং পাউডার। এখানে সবজি, চা, দুর্নীতি, রেল কেলেঙ্কারি, স্পোর্টস কেলেঙ্কারি, কয়লা, চিটফান্ড সব কেলেঙ্কারির দাগ উঠে যেতে পারে। এই মেশিনের দাম ৮৫৫২ কোটি টাকা। এটা নির্বাচনী বন্ড থেকে এসেছিল।
তিনি বলেন, বিজেপি বলেছিল দাউদের সঙ্গে প্রফুল্লের যোগ রয়েছে। এবার দাউদকে ওই মেশিনে ভরে দিক। দেখা যাক কী বের হয়। হয়তো বিজেপির রাজ্য়সভার এমপি হয়ে বের হবেন। মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীকেও এই মেশিনে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি।
আসলে এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের সংযুক্তিকরণের পর গঠিত ন্যাশনাল অ্যাভিয়েশন কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (নাসিল)-এর বিমান লিজে অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে সিবিআই ক্লোজার রিপোর্ট দাখিল করেছে।
ইউপিএ জমানায় এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের সংযুক্তিকরণের পর গঠিত ন্যাশনাল এভিয়েশন কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের (নাসিল) বিমান লিজে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে এই মামলায়। ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (সিবিআই) এই অভিযোগগুলি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
সরকারি কর্মচারীরা ১৫টি দামি বিমান লিজ নিয়েছেন, যার জন্য তাদের পাইলটও প্রস্তুত ছিল না, এমন একটি জনস্বার্থ মামলার পর সিবিআই মামলা দায়ের করেছিল।
এফআইআরে অভিযোগ করা হয়েছে যে এয়ার ইন্ডিয়া কম যাত্রী বোঝাই এবং উল্লেখযোগ্য লোকসানের সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও বিপুল সংখ্যক বিমান লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এতে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অসৎ আচরণ এবং অজ্ঞাত পক্ষের সাথে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে, যার ফলে বেসরকারী সংস্থাগুলির আর্থিক লাভ এবং সরকারী কোষাগারের ক্ষতি হয়েছে।
'বেসরকারি সংস্থাগুলির সুবিধার্থে এয়ার ইন্ডিয়া ২০০৬ সালে চারটি বোয়িং ৭৭৭ বিমানকে পাঁচ বছরের জন্য ড্রাই লিজ নিয়েছিল, যেখানে এটি ২০০৭ সালের জুলাই থেকে নিজস্ব বিমান সরবরাহ করার কথা ছিল। এর ফলে ২০০৭-০৯ সময়কালে পাঁচটি বোয়িং ৭৭৭ এবং পাঁচটি বোয়িং ৭৩৭ বিমানের আনুমানিক ৮৪০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
বিশেষ বিচারক প্রশান্ত কুমার সম্প্রতি তদন্তকারী অফিসারকে একটি নোটিশ জারি করেছেন এবং ১৫ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখে বিষয়টি নির্ধারণ করেছেন। আদালত সিদ্ধান্ত নেবে যে বন্ধের প্রতিবেদনটি গ্রহণ করা হবে বা আদালত যে বিষয়গুলি উত্থাপন করতে পারে সে সম্পর্কে এজেন্সিকে আরও তদন্তের নির্দেশ দেবে।
(এজেন্সি থেকে ইনপুট সহ)