পরিবারের অমতে যুবতীর সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন যুবক। সেই ক্ষোভে যুবককে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার নাম করে বেধড়ক মারধর করল যুবতীর পরিবারের সদস্যরা। শুধু তাই নয়, যুবকের নাক কেটে দেওয়া হল। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের পালি-যোধপুর হাইওয়েতে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করে। ঘটনায় যুবতীর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগকে দায়ের করেছে যুবকের পরিবার।
আরও পড়ুন: বুলডোজার বন্ধ হবে, প্রেম -বিয়েতে হস্তক্ষেপ নয়, ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতি কংগ্রেসের
কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, আক্রান্ত যুবকের নাম চেলরাম তক (২৩)। তাঁরা দুজনেই যোধপুরের ঝাঁওয়ার গ্রামের বাসিন্দা। বেশ কয়েক বছর ধরেই তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু, পরিবারের আপত্তি থাকায় গত মার্চ মাসে তাঁরা পালিয়ে বিয়ে করেন। এরপর থেকে তাঁরা দুজনে ইন্দিরা নগরে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। স্বাভাবিকভাবেই অমতে বিয়ে করায় ওই যুবকের ওপর ছিলেন যুবতীর পরিবারের সদস্যরা। তবে গতকাল যুবতীর পরিবারের লোকজন তাঁদের ভাড়া বাড়িতে পৌঁছায়। সেখানে তাঁরা জানান, যে এই বিয়ে তাঁরা মেনে নিয়েছেন। এখন তাঁদের আর কোনও আপত্তি নেই। এই বলে নবদম্পতিকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন যুবকের শ্বশুরবাড়ি লোকজন।
এদিকে, শ্বশুরবাড়ির লোকেদের রাগ ভেঙে যাওয়ায় নবদম্পতি খুশি হয়েছিলেন। ফলে তারা তাদের সেই অনুরোধে আপত্তি জানাননি। পরে যুবতীর পরিবার দুজনকে তাঁদের গাড়িতে করে নিয়ে যায়। এরপর গাড়িটি ঝাওয়ার গ্রামের কাছাকাছি আসতেই ঘটে বিপত্তি। মাঝরাস্তায় আচমকা গাড়ি থামিয়ে যুবককে তাঁরা বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন। এরপর তাঁর নাক কেটে সেখানে ফেলে দেন এবং যুবতীকে নিয়ে চলে যান। বিষয়টি জানার পরে যুবকের পরিবারের লোকজন সেখানে পৌঁছে যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করেন।
পালির পুলিশ আধিকারিক জানান, যুবতীর দুই ভাই সুনীল ও দীনেশ-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ওই যুবতীর পরিবারের সদস্যরা ইন্দিরা নগরে তাঁদের বাড়িতে পৌঁছায়। এরপর তাঁদের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার পথে মারধর করে। পরে যোধপুরের ঝাওয়ার গ্রামের কাছে তারা গাড়ি থামিয়ে আবার মারধর করে এবং তাঁর নাক কেটে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, তারা যুবককে ফেলে দিয়ে যুবতীকে সঙ্গে নিয়ে চলে যায়। বর্তমানে ওই যুবক যোধপুরের এমজি হাসপাতালে ভরতি রয়েছে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।