রাজ্যে লোকসভা ভোটের অন্যতম প্রধান ইস্যু সন্দেশখালি কাণ্ড পরিকল্পিত? একটি ভাইরাল স্টিং অপারেশনে এমনই দাবি করা হয়েছে। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই স্টিং অপারেশনে বিজেপির সন্দেশখালি ২ মণ্ডলের সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালকে বিস্ফোরক সব মন্তব্য করতে শোনা যাচ্ছে। স্টিং অপারেশনের ছবি ও কণ্ঠস্বর তাঁর বলে স্বীকার করলেও ওই সব কথা তাঁকে দিয়ে পরিকল্পনামাফিক বলানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন গঙ্গাধরবাবু। স্টিং অপারেশনে শোনা গিয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নামও। বিষয়টি না জেনে মন্তব্য করবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলায় হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রেখেছে তৃণমূল সরকার: নরেন্দ্র মোদী
পড়তে থাকুন: তৃণমূলে পদহারা কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বোমা ফাটালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
মণ্ডল সভাপতির বিস্ফোরক মন্তব্য
ভাইরাল ওই ভিডিয়োয় গঙ্গাধরবাবু ছাড়াও দেখা গিয়েছে স্থানীয় সিংহপাড়ার বাসিন্দা জবারানি সিংহ ও সন্দেশখালি ১ নম্বর মণ্ডলের বিজেপির সভাপতি শান্তি দলুইকে। ভিডিয়োয় গঙ্গাধর বাবুকে বলতে শোনা যাচ্ছে, মহিলাদের ফুসলিয়ে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশে ধর্ষণের অভিযোগ করানো হয়েছে। আসলে কোনও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। আর এই কাজে টাকা ও মোবাইল ফোন দিয়ে সাহায্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন, তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করাতে না পারলে আন্দোলন করা যাবে না। ভোটেও দাঁড়ানো যাবে না।
অস্ত্র আমদানির ছক
এমনকী সন্দেশখালিতে অস্ত্র আমদানির কথাও শোনা গিয়েছে গঙ্গাধরবাবুর কণ্ঠে। তিনি বলেন, শ্যুটার লাগবে ৩০টা আর ২০টা পিস্তল লাগবে। তার মানে ৫০টা পিস্তল হলে আমার ২টো অঞ্চল কভার হয়ে যাবে। আর কার্টিজ লাগবে ৬টা করে ধরলে ৩০০। আর ডবল ধরলে ৬০০। এমন লোককে কাজে লাগানো হবে যে যেটা কাজে লাগবে না সেটা ফেরত হবে। আপনি আমি ২টো ছেলেকে ডেকে নেব। তারাই ফেরত দিয়ে দেবে।
আরও পড়ুন: ৩০ শতাংশ লোক মসজিদ ভাঙলে ৭০ শতাংশ লোক চুপ করে বসে থাকবে না, বললেন তৃণমূল বিধায়ক
এই ভিডিয়ো নিয়ে গঙ্গাধর বাবু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভিডিয়োর কণ্ঠস্বর ও ছবি তাঁর। কিন্তু তাঁকে দিয়ে এই সব কথা পরিকল্পনা করে বলানো হয়েছে। একজন অপরিচিত লোক এসে তাঁর সঙ্গে এসব আলোচনা করে। তাঁর অধিকাংশ প্রশ্নের তিনি হ্যাঁ অথবা না-তে জবাব দিয়েছেন।
শুভেন্দুবাবু বলেন, কে কী বলেছে জানি না। তৃণমূলের বানানো ভিডিয়ো কি না তাও দেখতে হবে। বিষয়টি না জেনে কিছু বলতে পারব না।