সামনেই ভোট। তার আগে নতুন করে ইভিএম বিতর্ক আমল দিতে রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট। এদিন ইভিএম সংক্রান্ত মামলায় শীর্ষ আদালত বলেছে যে সব পদ্ধতিতেই ভালো, খারাপ থাকে। তাই এই নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই বলেই মনে করে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারক সঞ্জীব খান্না, দীপঙ্কর দত্ত ও অগস্টিন জর্জ মসিহের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। সেখানে শীর্ষ আদালত বলে যে এর আগেও বহুবার শীর্ষ আদালত ইভিএম সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শুনেছেন।
পিটিশনকারীদেের সরাসরি বিচারকরা বলেন যে কতগুলি পিটিশন তারা শুনবেন। হালেই ভিভিপ্যাট নিয়ে মামলার শুনানি করা হয়েছে। কোনও অনুমানের ভিত্তিতে তারা কোনও মামলা শুনতে পারবেন না বলে জানায় বেঞ্চ। প্রত্যেক পদ্ধতিরই খারাপ ও ভালো আছে। সংবিধানের ৩২ নং ধারার আওতায় এই মামলার শুনানি করতে পারবেন না, বলে বিচারকরা জানান পিটিশনকারী নন্দিনী শর্মা। বিচারক খান্না বলেন যে দশটির ওপর কেস এই সংক্রান্ত শুনেছে সুপ্রিম কোর্ট। নন্দিনী শর্মা ইলেকশন কমিশন ও ছটি বড় রাজনৈতিক দলকে পার্টি করেছিলেন তাঁর পিটিশনে।
প্রসঙ্গত, ইভিএম নিয়ে বিতর্ক অনেক দিন ধরেই চলছে। অতীতে বারবারই বিরোধীরা বলেছেন যে ইভিএম হ্যাক হতে পারে। তাই ফের ব্যালটে ফিরে যাওয়া উচিত। তবে ইভিএম হ্যাক হতে পারে, সেই সংক্রান্ত কোনও প্রমাণ তারা দিতে পারেননি। বিএসপি-র মত কিছু পার্টি তো সরাসরি ইভিএম হ্যাক করেই বিজেপি জিতেছে বলে দাবি করেছে, কোনও প্রমাণ না দিয়েই। তারপর ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট যুক্ত করা হয়। তবে অল্প সংখ্যক ভিভিপ্যাট স্লিপই মিলিয়ে দেখা হয়। এখন কংগ্রেস সহ বিরোধীদের দাবি যে ভিভিপ্যাটের সব স্লিপ গণনা করা উচিত। তবে এই আবেদনও শুনতে নারাজ নির্বাচন কমিশন। সুপ্রিম কোর্টের এদিনের মনোভাব থেকেও স্পষ্ট যে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এই বিষয় একমত শীর্ষ আদালত। তাই অদূর ভবিষ্যতে ভারতে ভোট ইভিএম দিয়েই হবে। বিরোধীরা না চাইলেও তাদের হাতে তেমন কোনও বিকল্প নেই। পড়শি পাকিস্তানে ভোটে একাধিক অনিয়মের কথা উঠেছিল। তখন সেখানে বিরোধীরা ভারতের মত ইভিএম চালু করার দাবি জানিয়েছিলেন। তবে বিরোধীরা বলেন যে আমেরিকা সহ পশ্চিমের দেশগুলি যখন এখনও ব্যালট ব্যবহার করছে, তাহলে ভারত বিকল্প পথে যাচ্ছে কেন।