ISFএর সঙ্গে জোট সম্ভাবনার দুয়ারে কাঁটা পড়ার পর রাজ্যে আরও এক দফা প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করল বাম দলগুলি। আর লক্ষ্যণীয়ভাবে এবার CPIএর কোটার আসন বসিরহাটে প্রার্থীদিল জোটসঙ্গী CPIM. ওই আসন থেকে ভোটে লড়ছেন রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া সিপিআইএম নেতা নিরাপদ সরদার। এছাড়াও ৪টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন বিমান বসু।
আরও পড়ুন: কত আয় করেন সুকান্ত মজুমদার? কত টাকার গাড়ি! সম্পত্তি কি বিরাট? সবটা জেনে নিন
শুক্রবার সন্ধ্যায় আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সাংবাদিক বৈঠকে করে বামেদের আরেক প্রস্থ প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করেন বামফ্রন্ট সভাপতি বিমান বসু। তালিকা অনুসারে বসিরহাটে লড়ছেন CPIMএর নিরাপদ সরদার, বারাকপুরে লড়ছেন অভিনেতা দেবদূত ঘোষ, ডায়মন্ড হারবারে DYFI নেতা প্রতীকুর রহমান, বারাসতে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রবীর ঘোষ ও ঘাটালে CPIএর তপন গঙ্গোপাধ্যায়।
বামেদের সমীকরণ
ISF নেতা নওসাদ সিদ্দিকি ডায়মন্ড হারবারে লড়াই করার ইচ্ছা প্রকাশ করার পর ওই আসনে প্রার্থী ঘোষণায় বিরত ছিল বামেরা। বৃহস্পতিবার নওসাদ রণে ভঙ্গ দেওয়ায় পরদিনই নিজেদের প্রার্থী প্রতীক উর রহমানের নাম ঘোষণা করে দিলেন বিমানবাবু। ডায়মন্ড হারবারে প্রতীক উরকে দাঁড় করানোর ব্যাপারে দলে মোটের ওপর সহমতি ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত CPI তাদের কোটার বসিরহাট ছাড়বে কি না তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছি। কারণ, সন্দেশখালিতে গণঅভ্যুত্থানের পর সেখানে হাল ফেরার আশায় রয়েছে বামেরা। ১১ বছর পর সন্দেশখালিতে ফের উড়েছে লাল পতাকা।
আরও পড়ুন: এল নিনোর প্রভাবে সীমা ছাড়াবে তাপপ্রবাহ! প্রাণ বাঁচাতে বড় নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের
ওদিকে গত ৫ জানুয়ারি EDর ওপর হামলা ও শেখ শাহজাহান ফেরার হতেই প্রকাশ্যে এসে বার বার অবস্থান জানিয়েছেন সেখানকার প্রাক্তন CPIM বিধায়ক তথা কৃষকসভার নেতা নিরাপদ সরদার। যাতে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় না থেকেও তাঁর এলাকাবাসীর মধ্যে জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক জোর প্রমাণিত হয়েছে বলে মনে করছেন বাম নেতারা। যার ফলে CPIM ওই আসনে লড়াই করার ইচ্ছা প্রকাশ করলে বাধা দেয়নি CPI.
বিকল্প শক্তি হওয়াই লক্ষ্য
এই নিয়ে মোট ৫ দফায় প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করল বামেরা। মোট ২৫টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তারা। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার সমীকরণ চূড়ান্ত না হওয়ায় বেশ কয়েকটি আসনে দোলাচলে রয়েছে তারা। আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনে আসন বার করার স্বপ্ন যে বাতুলতা তা বিলক্ষণ বর্ষীয়ান বাম নেতারা জানেন। তৃণমূল – বিজেপির দ্বিমুখি টক্করের মধ্যে বেশ কয়েকটি আসনে দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছতে চায় তারা। তাদের লক্ষ্য মেরুকরণ ভেঙে রাজ্যে তৃতীয় শক্তি হিসাবে বামেদের উত্থান।