সন্দেশখালিতে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক নিরাপদ সরদারকে জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সঙ্গে জানিয়ে দিল আজকের মধ্যে নিরাপদবাবুক জেল থেকে মুক্ত করা না হলে আদালত অবমাননার নোটিশ জারি করা হবে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাক আদালতে মন্তব্য করেন, একজন স্বাধীন দেশের নাগরিককে এভাবে আটকে রাখা যায় না। এমনকী যে পুলিশ আধিকারিকরা নিরাপদবাবুকে গ্রেফতার করেছে তাঁদের কেন গ্রেফতার করা হবে না তা পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চেয়েছেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালি যাওয়ার পরিকল্পনা ভেস্তে গেল, গ্রেফতার হলেন নওশাদ সিদ্দিকী
গত ১১ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন সন্দেশখালির প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক নিরাপদবাবু। সন্দেশখালিতে হিংসা ছড়ানোয় মদত দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শেখ শাহজাহান ফেরার হওয়ার পর থেকেই সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে নানা তথ্য প্রকাশ্যে আনছিলেন তিনি। ১৭ দিন জেলবন্দি থাকার পর মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত হলেন তিনি। জামিনের শর্ত হিসাবে আদালত জানিয়েছে, পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত রোজ নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে হবে নিরাপদবাবুকে। শর্ত ভাঙলে হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়াই তাঁর জামিন খারিজ করতে পারবে নিম্ন আদালত।
এদিন নিরাপদবাবুর আইনজীবী বিকাশরঞ্জনবাবু বলেন, ‘নিরাপদবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে FIR হয়েছে ৯ ফেব্রুয়ারি। তাহলেই বুঝুন পুলিশ কী ভাবে নিরাপদবাবুকে গ্রেফতার করেছে।’ বিকাশবাবুর সওয়াল শুনে বিচারপতি বসাক বলেন, এভাবে স্বাধীন দেশে কাউকে আটকে রাখা যায় না কি? নিরাপদ সরদারকে নিঃশর্ত জামিন দেওয়া হল। আজকের মধ্যে তাঁকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া না হলে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করবে আদালত।
আরও পড়ুন: দিব্যেন্দু কি বিজেপিতে যোগ দেবেন? প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে চলেছে তৃণমূল সাংসদের
এছাড়া বসিরহাটের পুলিশ সুপারকে এব্যাপারে ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছে হাইকোর্ট। নিরাপদবাবুকে যে পুলিশ আধিকারিকরা গ্রেফতার করেছে তাদের কেন গ্রেফতার করা হবে না তার জবাব চেয়েছেন বিচারপতি।