রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে কেন্দ্র। সেই বিজ্ঞাপনে রাজ্যেকে ছোট করে দেখানো হচ্ছে। একই দিনে রাজ্যের সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তাতে দেখানো হচ্ছে কী কী উন্নয়নের কাজ করেছে যোগী সরকার। এই সবই করা হচ্ছে রাজ্য হেয় করার জন্য । এই অভিযোগ এনে শুক্রবার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিল তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে নিরাপেক্ষতা বজায় রাখা হচ্ছে না। নির্দিষ্ট কিছু সরকারের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাজ্যের অধিকাংশ সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেয় কেন্দ্র। তাতে দাবি করা হয়, কেন্দ্র অর্থ বরাদ্দ করলেও রাজ্য সরকারের অসহযোগিতা এবং অনীহায় প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ফলে সাধারণ মানুষ সুবিধা পাচ্ছেন না। এই অসহযোগিতার কারণে বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ আটকেও রয়েছে।
অন্য দিকে আবার ওই একই দিনে বিজ্ঞাপন দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তাতে গত সাত বছরে কী কী কাজ হয়েছে তার খতিয়ান দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এই কাজ করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদেই মুথ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন। লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে কবে? অবশেষে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন
এই চিঠিতে তৃণমূলের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার যখন বিজ্ঞাপন দেবে, তখন আশা করা যায় নিরপেক্ষতা বজায় রেখে দেবে। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, নির্দিষ্ট সরকারের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে। বিরোধী সরকারগুলিকে নেতিবাচক করে দেওয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইনও উল্লেখ করে শাসকদল।
আরও পড়ুন। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পরই অভিষেকের সভা বসিরহাটে, সভাস্থল পরিদর্শন মন্ত্রীর
আবার একই দিনে উত্তরপ্রদেশে সরকারের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে কাগজে। তা নিয়েও প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল। তাদের মতে আসলে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির অগ্রগতি দেখিয়ে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিকে পিছিয়ে পড়া হিসাবে দেখানো হচ্ছে।
তবে বিষয়টি শুধু চিঠিতে আটকে নেই। রাজ্য সরকার পাল্টা বিজ্ঞাপন দিয়েছে শুক্রবার। যে সমস্ত প্রকল্পে রাজ্যের বকেয়া টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র তার খতিয়ান তুলে পাল্টা বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। সেই বিজ্ঞাপনে দাবি করা হয়েছে কেন্দ্রে রাজ্যের প্রাপ্য ১লক্ষ ৭৪ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে। তা সত্বেও জনসেবার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। তৃণমূলের এই চিঠির প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ করে নির্বাচন কমিশন এখন সেটাই দেখার।