লোকসভা নির্বাচনের মুখে বিতর্কে জড়ালেন পশ্চিম ত্রিপুরার বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করল ত্রিপুরা সিপিএম। অভিযোগ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দলের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতিটি বিধানসভা এলাকা থেকে যেন বিরোধীরা ৩ হাজারের বেশি ভোট না পান। তাছাড়া, বিরোধীদের কোনও জনসভায় যাতে ১ লক্ষের বেশি ভোট না হয় সে বিষয়ে তিনি দলের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। এমনই অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে ত্রিপুরা সিপিএম।
আরও পড়ুনঃ ত্রিপুরায় ৪৮ প্রার্থীর নাম ঘোষণা BJP-র, টিকিট শুক্রবার যোগ দেওয়া CPIM নেতাকেও
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী ভারতের নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে অভিযোগ করেছেন, বিপ্লব দেব লোকসভা প্রার্থী হওয়ার পর থেকে সমস্ত র্যালি এবং সভাতে তাঁর কর্মীদের ক্রমাগত প্ররোচনা দিয়ে চলেছেন। ভোটারদের বাধা দেওয়ার জন্য প্ররোচনা দিচ্ছেন। এই অবস্থায় শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ নির্বাচন হবে না বলেই তাঁর আশঙ্কা। তাঁর আরও অভিযোগ, গত ৬ বছরে ত্রিপুরার একাধিক নির্বাচনে তিনি ভোটারদের বাধা দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনও বিপ্লবের আমলে সমস্ত নির্বাচন প্রহসনমূলক হয়েছে। তাঁর নির্দেশে গত নির্বাচনগুলিতে ব্যাপক সন্ত্রাস চালানো হয়েছিল।
সিপিএম নেতা আরও অভিযোগ করেন, গত ৯ মার্চ বিপ্লবের এমন নির্দেশের পরে সিপাহিজলা জেলার টাকরজালা এলাকায় কিছু বিজেপি যুব মোর্চা কর্মী রবিবার সিপিএম অফিস ভেঙে দিয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্যের পর বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং রাজ্যের গণতান্ত্রিক মনস্ক মানুষরা ভয় পাচ্ছেন। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে না।
পরে সাংবাদিকদের সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বলেন, বিপ্লবকে প্রার্থী করার পরেই অসামাজিক কাজকর্ম বেড়ে চলেছে। মোটরবাইক গ্যাং ত্রিপুরা জুড়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সন্ত্রাস চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকী নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও প্রকাশ্যে বিরোধীদের হুমকি দিচ্ছে। এবিষয়ে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি তথা পশ্চিম ত্রিপুরার প্রার্থী আশিস কুমার সাহা জানান, বিজেপির আমলে সন্ত্রাস বেড়েছে।
এদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সিপিএম এবং কংগ্রেসের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, বিরোধীরা ভয় পাচ্ছে। তাই ভুল তথ্য দিচ্ছে। রাজ্যের মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির উন্নয়নে খুশি। বিজেপিই জয়ী হবে।