জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের ফুলবাড়িতে বিজেপির বুথ অফিস পোড়ানোর অভিযোগ উঠল সকাল সকাল। শিলিগুড়ি সংলগ্ন ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভার চতুরাগছ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে ৫০০ মিটার দূরে এই বুথ ভোররাতে আগুন লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি কর্মীরা। নাম না করে শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগের তির বিজেপির। এদিকে কোচবিহারের তুফানগঞ্জে তৃণমূলের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয় পুড়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনায় অভিযোগের তির আবার বিজেপির দিকে। (আরও পড়ুন: বাংলার তিন আসনে লোকসভা আসনের লাইভ আপডেট)
আরও পড়ুন: দেশের ১০২ আসনে লোকসভা ভোটের লাইভ আপডেট
এদিকে আজ সকাল থেকে ইভিএম বিভ্রাটের জেরে ধূপগুড়ির একাধিক জায়গায় মক পোলিং হয়নি বলে অভিযোগ। রিপোর্ট অনুযায়ী, ধূপগুড়ি জেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে থাকা ১৫/ ১৯৯ বুথে ইভিএম বিভ্রাট দেখা দেওয়ায় মক পোলিং হয়নি। এছাড়া ধূপগুড়ি হাই স্কুল ১৫/১৭৬ ইভিএম বিভ্রাটে স্থগিত থাকে মক পোলিং। ১৪/২০৩ আংড়াবাসা বংশীবদন হাইস্কুলেও একই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।
এদিকে অপর এক ঘটনায় আজ মাথাভাঙায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃত জওয়ানের নাম নীলেশকুমার নীলু। বয়স ৪২ বছর। তিনি বিহারের বাসিন্দা। কোচবিহারের মাথাভাঙায় সিআরপিএফ জওয়ানের রহস্যমৃত্যু নিয়ে পুলিশ জানাচ্ছে, ভোটকেন্দ্রেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন নীলেশকুমার। আচমকা নাক-মুখ থেকে রক্ত বের হতে শুরু করে সেই জওয়ানের। পরে তাঁকে মাথাভাঙা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এমনিতে আজ রাজ্যের ১০০ শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কোচবিহারে ৪৭টি, আলিপুরদুয়ারে ২৩টি, জলপাইগুড়িতে ১৩টি, শিলিগুড়িতে তিনটি কুইক রেসপন্স টিম রাখা হয়েছে। এ ছাড়া তিন কেন্দ্রে রাজ্য পুলিশের মোট ১২,৩১০ জন কর্মীকে নিযুক্ত করেছে কমিশন। এদিকে ভোটের দিন তিন জেলায় অবাধ নির্বাচন এবং নিরাপত্তা বজায় রাখতে পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন। বুথে বুথে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার ‘ওয়েব কাস্টিং’ হবে। কলকাতার কন্ট্রোল রুমে বসে তার ওপর নজর রাখবেন কমিশনের আধিকারিকরা।
রিপোর্ট অনুযায়ী, কোচবিহারে সাধারণ পর্যবেক্ষক হলেন আইএএস রবিকুমার সুরপুর। এ ছাড়া জলপাইগুড়িতে আইএএস সুধাংশুমোহন সমল এবং আলিপুরদুয়ারে আইএএস পাটিল যালাগৌদা শিবাংগৌদাকে সাধারণ পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। কোচবিহারের পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসাবে থাকছেন আইপিএস কুমার বিশ্বজিৎ। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ পর্যবেক্ষক আইপিএস পুনীত রাস্তোগি এবং জলপাইগুড়ির পুলিশ পর্যবেক্ষক আইপিএস সিএস রাও। পাশাপাশি ৭০০ জন মাইক্রো অবজার্ভারও থাকবেন এই তিন কেন্দ্রে।