আগামী ২৬ এপ্রিল সপ্তম দফার বিধানসভা নির্বাচন বাংলায়। তার জন্য প্রচার জোরকদমে চলছে। দক্ষিণ কলকাতায় এই দিন ভোট আছে। সেখানে কলকাতা জুড়ে করোনার প্রকোপ মারাত্মক আকারে বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন ক্যাম্পেন কার্ফু চালু করেছে। অর্থাৎ প্রচারে কোপ মেরেছে। সন্ধ্যে ৭টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রচার করা যাবে না। করোনা রুখতেই এই পদক্ষেপ। কিন্তু সেখানে আরও বড় সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান বিধায়ক তথা বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
কী সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি? রবিবার তিনি টুইট করে জানান, ‘করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জেরে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি কোনও বড় সমাবেশ তথা র্যালি ভবানীপুরে করব না। যা আগের নির্বাচনে করতে পেরেছিলাম। এবার তা করব না। সবাইকে অনুরোধ করছি মাস্ক পরুন এবং সুস্থ থাকুন।’ শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্ত জানানোর পর অনেকেই হতাশ। কারণ এবার তিনি খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছেন। যেখানে স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দরজায় দরজায় এসেছিলেন। সুতরাং সেখানে প্রচার না করার সিদ্ধান্তে বেশ চাপেই পড়ে গেল স্থানীয় নেতৃত্ব।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের এক দক্ষিণ কলকাতার নেতা বলছেন, এটা তৃণমূল কংগ্রেসেরই গড়। তাছাড়া প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তি অত্যন্ত ভাল। তাই তিনি প্রচার না করলেও বিপুল ভোটে জিতবেন। করোনা সংক্রমণ বেড়েছে এটা তো ঠিকই। সেখানে বড় প্রচার বা সমাবেশে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই এই সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন।