বাড়ির সিঁড়িঘরের পাশেই পড়েছিল কৌটোটা। সেটা তুলে নিয়ে খেলছিল বাড়ির বছর দুয়েকের শিশুটি। দেখতে পেয়ে সেটি কেড়ে নেন তাঁর ঠাকুমা। এরপর কৌটোর গায়ে জড়ানো টেপ খুলে ফেলেন তিনি। তাঁর দাবি, কৌটো খুলতেই দেখা যায় বারুদ ঠাসা রয়েছে। এর সঙ্গে পাথরও রয়েছে সেই কৌটোর ভেতর। এটা দেখেই তিনি ছুঁড়ে ফেলেন কৌটোটিকে। বর্ধমান শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দুবরাজদিঘির হরেরডাঙা এলাকার ঘটনা। অল্পের জন্য বড় বিপদের হাত তেকে রক্ষা পান পরিবারের সদস্যরা।
ওই শিশুর ঠাকুমা বলেন, দরজা খুলতেই আমার নাতনি পেছন পেছন আসে। এরপর ওই কৌটোটা নিয়ে খেলতে শুরু করে। ঝুমঝুমির মতো আওয়াজ হচ্ছিল।আমি দেখি কৌটোর গায়ে টেপ আটকানো ছিল। খুলে দেখি বারুদ আর পাথর ভরা রয়েছে। দেখেই ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছি। বড় দুর্ঘটনা হয়ে যেতে পারত। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই বাড়ির পাশেই তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির নেতা ইফতিকার আহম্মদের বাড়ি। কিন্তু তাঁর বাড়ির কাছে বোমা রাখল কে? এনিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি এটা পুরোপুরি বিজেপির কাজ। ওরাই এই বোমা রেখে তৃণমূলের উপর দোষ চাপাতে চাইছে। ভয়াবহ ঘটনা হতে পারত। সম্প্রতি বর্ধমানে এই ধরনের বোমাই অন্য জায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে। সেই বোমই এখানে রেখে যাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি এইসব বোমা বারুদের কারবার তৃণমূল করে। এই ধরনের কৌটো বোমা ওরা ব্যবহার করে। এখন বিষয়টি জানাজানি হতেই নানা কথা বলছে। এদিকে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।