বসিরহাটের সভা সেরে কলকাতার দিকে ফেরার সময় দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হলেন বিজেপি নেতা ফিরোজ কামাল গাজি ওরফে বাবু মাস্টার। শনিবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটে মিনাখাঁয় বাসন্তী হাইওয়ের ওপর। অভিযোগ, প্রাক্তন তৃণমূল নেতা বাবু মাস্টারের গাড়ি লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়েছে বোমা, গুলি। জানা গিয়েছে, বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয়ে চিকিৎসাধীন ওই বিজেপি নেতা ও তাঁর গাড়ির চালক। দু’জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলকাতায় বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
বিজেপি–র অভিযোগ, এদিন বসিরহাটে সভা সেরে কলকাতায় ফেরার পথে বাবু মাস্টারের গাড়ি ঘিরে ধরে ১০–১২ জন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। লাউহাটি পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ঢিল–ছোঁড়া দূরত্বে তাঁর গাড়ির ওপর চলে হামলা। অভিযোগ, প্রথমে গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়। আর তার পরই আচমকা বাবু মাস্টারকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।
এই হামলার পর কোনওমতে লাউহাটি পুলিশ ফাঁড়ির কাছে গাড়িটি চালিয়ে নিয়ে যায় বাবু মাস্টারের গাড়ির চালক। তার পর সেখান থেকে অন্য একটি গাড়িতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের দু’জনকে কলকাতা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবু মাস্টার ও তাঁর গাড়ির চালক— দু’জনের শরীরে বিঁধে রয়েছে বোমার স্প্লিন্টার। তবে সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপি–তে যোগ দেওয়া বাবু মাস্টার গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কিনা তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি চিকিৎসকরা।
বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন, তৃণমূল থেকে তাদের দলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বাবু মাস্টারের ওপর হামলার আশঙ্কা করা হয়েছিল। তাঁকে বেশ কয়েকবার প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় তৃণমূল। রাজ্য বিজেপি–র সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার এ ব্যাপারে বলেন, ‘তৃণমূল যে কয়েকদিন আগে ভয়ঙ্কর খেলা হবে বলেছিল সেই চিত্রই ফুটে উঠছে। ব্যারাকপুরে মণীশ শুক্লকেও এভাবেই খুন করা হয়েছিল। আর আজকেও বাবু মাস্টারকে একইভাবে খুন করার চেষ্টা করা হল।’
এ ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়— এমনই জানিয়েছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর কথায়, ‘তৃণমূলের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। এটা পরিষ্কার আভ্যন্তরীন লড়াই। বাবু মাস্টার যখন সিপিএম করত তখনও অনেক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল। আমাদের দলে থাকার সময় তাকে নিয়ে অনেক সময় বিতর্কও হয়েছে।’