নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণের দিনই উদ্ধার হয়েছিল বিজেপি কর্মীর দেহ। এবার শনিবার ভোটের দিনই কোচবিহারের পাতলাখাওয়াতে উদ্ধার হয়েছে বিজেপি সমর্থকের ঝুলন্ত দেহ। মৃতের নাম অমল দাস। বাড়ির কাছে বাঁশ ঝাড়ের মধ্যে ঝুলছিল তাঁর দেহ। বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, তাঁর পা মাটির সঙ্গে লেগেছিল। সেক্ষেত্রে এভাবে আত্মহত্যা করা সম্ভব নয়। তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিজেপি নেতৃত্বের দাবি বাসিন্দাদের, ভয় দেখানোর জন্যই তাঁকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনায় দানা বেঁধেছে রহস্য। কোচবিহার উত্তর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী সুকুমার রায় বলেন, 'পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। তবে আমাদের ধারণা তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে এই ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত করতে হবে। তাঁর কোনও শত্রু ছিল না। বাড়ির কাছেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কেউ খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে কিনা, তা দেখা হোক।' বিজেপি নেতৃত্বের দাবি এলাকায় ভয়-ভীতির পরিবেশ তৈরির জন্য এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হয়েছে। তবে গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। বিজেপির দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতেই সন্ত্রাস কায়েম করার জন্য তৃণমূল একের পর এক বিজেপি কর্মীকে খুন করছে। পুরুলিয়া থেকে শালবনী সেই একই ছবি। অবিলম্বে এব্যাপারে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। সে কারণেই এবার মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিচ্ছেন।