‘বিধির বিধান দিদিই রবে… বন্ধু এবার খেলা হবে..’, ভোট গগণার প্রাথমিক ট্রেন্ডে কার্যত পরিষ্কার নবান্নের মসদনে তৃতীয়বার বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তৃণমূলের একুশের ভোটের লড়া্ইয়ে অন্যতম কাণ্ডারী, দলের তরুণ তুর্কি দেবাংশু ভট্টাচার্য এদিন আবেগঘন বার্ত দিলেন সমর্থকদের।
ভোটের ফলাফলের দিন লাইভে আসবেন, কথা দিয়েছিলেন দেবাংশু। তৃণমূলের একুশের ভোটের স্লোগানের স্রষ্টা এদিন বললেন- ‘নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরের ডেলি প্যাসেঞ্জারির জবাব বাংলা দেবে, ভাঙা পায়েই খেলা হবে… খেলা হয়ে গেছে। বলেছিলাম তৃণমূলের ভাঙিয়ে নেতা নয়কো সহজ ভোটে জেতা, দিদির ছবি সরবে যবে, বন্ধু তবে খেলা হবে… একটা পঁয়ষট্টি মহিলাকে সব শক্তি একজোট হয়েছিল, তবু পারলি না’।
সব চক্রান্তকে হারিয়ে দিয়ে এই পঁয়ষট্টির মহিলা জিতবে সেকথা জোর গলায় ফের ঘোষণা করলেন দেবাংশু। জয়ের আনন্দে এদিন কেঁদে ফেলেন দেবাংশু। এদিন লাইভে প্রথমবার নিজের মায়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন দেবাংশু। বলেন বহু ব্যক্তিগত আক্রমণ এতদিন সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে, তাঁর পরিবারকেও। তিনি বললেন,' আমার মা, বাবা, দিদি টেনশনে বাইরে বার হতে পারত না। ছেলে রাজনীতি করে। যদি কিছু একটা হয়ে যায়। আজ বেইমানরা জিতছে না। খেলা হয়েছে।' এই প্রথম ফেসবুক লাইভে নিজের মায়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন দেবাংশু।
‘এদিন বিজেপির পাশাপাশি সংযুক্ত মোর্চাকেও একহাত নেন দেবাংশু। বলেন,'সংযুক্ত মোর্চা, বিজেমূল কোম্পানি বলা লোক, তাঁদের ১ করে দিয়েছে ২৯২-এর মধ্যে'। বামদেরে তরুণ তুর্কীদের বেহাল দশার কথাও মনে করিয়ে দেন ২৫ বছরের এই যুবনেতা।
ঝাঁঝালো গলায় বিজেপিকে আক্রমণ করেন দেবাংশু বলেন, ‘খেলা কার শুরু হল, কার শেষ হল? বাংলার মাটিতে দিদির বিকল্প নেই।২০১৬-য় মমতা সুনামি ছিল, এবার আমফান… সব এক্সিট পোল মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।’ তিনি বলেন, 'বলেছিলাম না হাওয়াই চটি, সাদা শাড়ি জিতেছে।মোটা বুট হেরেছে। বলেছিলাম বহিরাগতদের মানুষ রিজেক্ট করবে, সাধারণ মানুষ তাই করেছে। খেলাটা কেমন লাগল বলুন তো। এটাকে খেলা বলে। এই খেলার কথাই বলছিলাম। ১০০ বনাম ১-এর খেলায় আমার দুর্গা জিতেছে।'
আজ সত্যজিতের জন্মশতবার্ষিকী, সেই প্রসঙ্গে টেনে দেবাংশু বলেন- সত্যজিত রায়ের জন্মদিনে আজ হীরক রাজা হারল, সত্যজিতের জন্মদিনে সত্যের জিত হল, বাংলার মানুষের রায়ে'।
লাইভের শেষে জয়ের তৃপ্তির হাসির যুব তৃণমূল নেতার ঠোঁটে। বললেন, 'খেলা হবে আর বলব না। খেলা হল। এতদিন এই খেলার কথাই বলছিলাম। ভালো লাগল তো!'