এই বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিবেক গুপ্ত। অন্য দিকে, বিজেপির হয়ে দাঁড়াচ্ছেন মিনাদেবী পুরোহিত। বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে দাঁড়াচ্ছেন কংগ্রেসের জনাব আজমল খান।
জোড়াসাঁকো বিধানসভা কেন্দ্র কলকাতা জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, জোড়াসাঁকো বিধানসভা কেন্দ্রটি কলকাতা পৌরসংস্থার ২২, ২৩, ২৫, ২৭, ও ৩৭ থেকে ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডগুলি নিয়ে গঠিত। জোড়াসাঁকো বিধানসভা কেন্দ্র কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ২০০৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে এই কেন্দ্রটি কলকাতা উত্তর পশ্চিম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ছিল।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী স্মিতা বক্সি জিতেছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪৪ হাজার ৭৬৬৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বিজেপির রাহুল সিনহা (বিশ্বজিৎ)। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ছিল ৩৮ হাজার ৪৭৬৷ তৃণমূল প্রার্থী স্মিতা বক্সি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির রাহুল সিনহা (বিশ্বজিৎ)কে ৬ হাজার ২৯০ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।
২০১১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের স্মিতা বক্সি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএমের জানকী সিংকে পরাজিত করেছিলেন। ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের দীনেশ বাজাজ এই কেন্দ্র থেকে ফরওয়ার্ড ব্লকের শ্যামসুন্দর গুপ্তাকে পরাজিত করেছিলেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের সত্যনারায়ণ বাজাজ ফরওয়ার্ড ব্লকের শ্যামসুন্দর গুপ্তকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের দেবকীনন্দন পোদ্দার ফরওয়ার্ড ব্লকের সত্যনারায়ণ বাজাজ, ১৯৯১ ও ১৯৮৭ সালে ফরওয়ার্ড ব্লকের সুকুমার দাস ও ১৯৮২ সালে ফরওয়ার্ড ব্লকের শ্যামসুন্দর গুপ্তাকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টির বিষ্ণুকান্ত শাস্ত্রী কংগ্রেসের দেবকীনন্দন পোদ্দারকে পরাজিত করেছিলেন।
১৯৭২, ১৯৭১ ও ১৯৬৯ সালে কংগ্রেসের দেবকীনন্দন পোদ্দার এই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন। ১৯৬৭ সালে কংগ্রেসেরই আর. কে. পোদ্দার এই আসন থেকে জিতেছিলেন। ১৯৬২ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেনকংগ্রেসের বদ্রীপ্রসাদ পোদ্দার। ১৯৫৭ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন কংগ্রেসের আনন্দীলাল পোদ্দার। ১৯৫১ সালে ভারতের প্রথম নির্বাচনে এই বিধানসভা কেন্দ্র থাকে জয়লাভ করেছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লক (এমজি)’র অমরেন্দ্রনাথ বসু। অতীতে জোড়াসাঁকোর পাশে কলুটোলা নামে আরও একটি বিধানসভা কেন্দ্র ছিল। ১৯৫১ সালে এই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন কংগ্রেসের আনন্দীলাল পোদ্দার। কেন্দ্রটি এরপর জোড়াসাঁকোর অন্তর্ভুক্ত হয়।