তিনি প্রার্থী হবেন কিনা, তা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা চলছিল। কিন্তু সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী জানিয়ে দিলেন, তিনি ভোটে লড়বেন না। তাঁর কথায়, ‘আমি প্রার্থী হব না। কারণ, আমি স্বার্থপর হয়ে যাব।’
আজ প্রথম দফার ভোট প্রচারের শেষদিন। প্রথম দফার প্রচারের শেষ লগ্নে বাংলার মাটিতে পা রাখেন বলিউড সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি যে বিজেপির হয়ে প্রচারে আসবেন, সে কথা আগেই বলেছিলেন। এবার সে কথা রাখতেই বৃহস্পতিবার সকালে হেলিকপ্টারে বাঁকুড়া পৌঁছে যান ‘মহাগুরু’। সুপারস্টারকে দেখার জন্য উৎসাহী মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বাঁকুড়ায় পৌঁছে বেশ কিছুক্ষণ হেলিকপ্টারে বসে থাকতে হয় মিঠুনকে। ভিড়ের চোটে ১৫ মিনিট হেলিকপ্টার থেকে নামতেই পারেননি মিঠুন। শেষমেষ রোড শো শুরু হয়। বাঁকুড়ার শালতোড়ায় প্রথম রোড শো করেন তিনি। মানুষের বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা দেখে ‘মহাগুরু’ জানান, বাংলার মানুষের সঙ্গে তাঁর হিরো বা ফ্যানের সম্পর্ক নয়। আত্মার সম্পর্ক।হৃদয়ের সম্পর্ক। বাংলার সব গরিব মানুষের জন্য লড়তে এসেছি। বাংলার সব মানুষকে তাঁদের ন্যায্য অধিকার দেওয়া করাব। সবার আশীর্বাদ কামনা করছি।
শালতোড়ায় সভা করার পর পুরুলিয়ার মানবাজার, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতেও রোড শো করেছেন মিঠুন। তৃণমূলের বহিরাগত তত্বের পালটা জবাব দিয়ে মিঠুন বলেন, ‘আমি যদি বাইরের লোক হই, তাহলে তো মাদার টেরিজা, ভগিনী নিবেদিতাও বাইরের লোক। বাঙালি ওঁদের মাথায় তুলে নাচে। ওঁরা বাইরের লোক নন। আসলে বাইরের লোক তাঁরা, যাঁরা বাংলায় থেকে বাংলার গরিব মানুষকে ভুলে গিয়েছেন। আমি বাইরের লোক না। নীতির লড়াই লড়ছি। সেটাই লড়ব।’
শালতোড়ায় সভা করার পর পুরুলিয়ার মানবাজার, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতেও রোড শো করেছেন মিঠুন। তৃণমূলের বহিরাগত তত্বের পালটা জবাব দিয়ে মিঠুন বলেন, ‘আমি যদি বাইরের লোক হই, তাহলে তো মাদার টেরিজা, ভগিনী নিবেদিতাও বাইরের লোক। বাঙালি ওঁদের মাথায় তুলে নাচে। ওঁরা বাইরের লোক নন। আসলে বাইরের লোক তাঁরা, যাঁরা বাংলায় থেকে বাংলার গরিব মানুষকে ভুলে গিয়েছেন। আমি বাইরের লোক না। নীতির লড়াই লড়ছি। সেটাই লড়ব।’
গত ৭ মার্চ নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেডের সভায় বিজেপিতে যোগ দেন মিঠুন। যোগ দিতেই তিনি বলেছিলেন, তিনি সারা রাজ্যে প্রচারে বেড়োবেন। এরপর কিছুদিনের মধ্যে বেলগাছিয়া–কাশীপুর কেন্দ্রে ভোটার তালিকায় নাম তোলেন মিঠুন। জানা যায়, সেখানে বলিউড সুপারস্টারের বোনের বাড়ি। এরপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে জোর জল্পনা চলছিল। তবে যাবতীয় জল্পনার নিরসন তিনি নিজেই করে দিলেন।