স্বপন দাশগুপ্তের বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে এবার খড়গহস্ত হলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। ক্ষোভ ঝড়ে পড়ল তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে। পোস্ট করে দিলেন সংবিধানের নির্দিষ্ট ধারা। সেখানে লাল কালি দিয়ে দাগিয়েও দিয়েছেন মহুয়া।
সেই ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, রাজ্যসভার মনোনীত কোনও সদস্য, সাংসদ পদে শপথ নেওয়ার ৬ মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরে কোনও দলে যোগ দিলে তাঁর সদস্য পদটি খারিজ বলে গণ্য হয়।
এখনও রাজ্যসভার সাংসদ রয়েছেন স্বপনবাবু। ২০১৬ সালে তিনি মনোনীত হয়েছিলেন। মহুয়ার অভিযোগ, ছয় মাসের মধ্যে তিনি বিজেপিতে যোগ দেননি। এখন যুক্ত হয়েছেন। ফলে সংবিধানের দশম তফসিল ধারা অনুযায়ী তাঁর সাংসদপদ খারিজ হয়ে যাওয়া উচিত।
রীতিমত রাজ্যসভার ওয়েবসাইটের স্ক্রিনশটও জুড়ে দিয়েছেন টুইটে যেখানে দেখা যাচ্ছে স্বপন দাশগুপ্ত মনোনীত সদস্য। অর্থাৎ রাজ্যসভার রেকর্ডে তাঁর বিজেপি যোগের কথা নেই। আরেকটি টুইটে মহুয়া বলেছেন যে স্বপন দাশগুপ্তের ভোটে লড়তে অসুবিধা নেই। কিন্তু তাঁকে একনয় ইস্তফা দিতে হবে রাজ্যসভা থেকে বা তাঁর সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাবে।
এবার তারকেশ্বর থেকে ভোটে লড়বেন স্বপন দাশগুপ্ত। তিনি সহ বেশ কিছু সাংসদকে এবার বিধানসভা ভোটে নামিয়েছে বিজেপি। অনেকেই মনে করছেন, দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা ঢাকতে এই পথে গিয়েছে গেরুয়া দল।
ইতিমধ্যেই তাঁকে তারকাদের সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় ভোটের প্রচারে দেখা গিয়েছে। একদা তুখোড় সাংবাদিক তথা রাজনৈতিক বিশ্লেষক ভোটের ময়দানে নামতেই, বিধিভঙ্গের অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল। এই নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি স্বপন দাশগুপ্ত।